TRENDING:

ঠিকাদারদের দায়সারা কাজ! মাশুল গুনতে হচ্ছে কেতুগ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীদের, দুশ্চিন্তায় দু'চখের পাতা এক করা দায়

Last Updated:

মাত্র পাঁচ মাস আগেই অজয় নদীর উপরের বাঁধ সংস্কার করেছিল সেচ দফতর। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে করে বাঁধের ধারে পাথর বসানোর কাজ হয়। কিন্তু ভেঙে পড়ল সেই বাঁধ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কেতুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরীঃ কেতুগ্রামের চরখি গ্রামে মাত্র পাঁচ মাস আগে অজয়ের বাঁধ সংস্কার করেছিল সেচ দফতর। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে করে বাঁধের ধারে পাথর বসানোর কাজ হয়। কিন্তু সম্প্রতি চরখি ধর্মরাজতলা এলাকায় বাঁধের বড়সড় অংশ ধসে পড়েছে। পাথর, মাটি ও পলিব্যাগ নদীতে ভেসে গিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। অনেকেই জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টিতে নদীর জল বেড়েছে। বাঁধ ভেঙে গেলে তারা কোথায় আশ্রয় নেবেন তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement

এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, কাজ ভাল হলে কী এইভাবে ভেঙে যেত? জল বাড়লে বাঁধ ভেঙে গেলে আমাদের চরম ক্ষতি হবে। কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে অজয়ের মোট ১৮ কিমি বাঁধ রয়েছে। ২০১৭ সালে এই এলাকা বাঁধ সেচ দফতরের অধীনে আসে। তারপর কয়েক ধাপে সংস্কারের কাজ হয়। তবে ২০২১ সালের বর্ষায় ভয়াবহ বন্যায় বিল্লেশ্বর, রসুই, চরখি-সহ মোট পাঁচটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পড়ে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পরে ওই ভাঙা অংশে সেচ দফতর মেরামতির কাজ করে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ নেতাজির স্মৃতি বহন করে চলেছে বর্ধমানের একটি দোকান, যা আজও দেশপ্রেমের প্রতীক

বর্তমানে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের পান্ডুগ্রাম পঞ্চায়েতের গনফুল ও নোওয়াপাড়ার বিশ্রামতলা এলাকায় দুর্বল বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। বিল্লেশ্বর পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি বাঁধ সংস্কারে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। অজয়ের বাঁক নেওয়ার ফলে প্রতি বছর জল বাড়লেই ওই অংশে বাঁধের গায়ে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, বিল্লেশ্বরের চরখি এলাকায় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ সংস্কার হয়েছিল, কিন্তু মাত্র পাঁচ মাসেই ধস নেমেছে। স্থানীয় বাসিন্দা খোকন পাল জানান, মেরামতির সময় মাটি নরম থাকায় তাঁরা পাথর বসানোর ক্ষেত্রে কিছুটা অপেক্ষা করার জন্যে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু ঠিকাদার তা শোনেনি।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ঘরে বসে এইভাবে হচ্ছে 'মোটা' ইনকাম, পথ দেখাচ্ছেন গৃহবধূ! বড় সুযোগ মিস করবেন না
আরও দেখুন

তাড়াহুড়ো করে দায়সারা কাজের ফলেই এখন পাথরের লাইন ধসে পড়েছে। উন্নত মানের পলিব্যাগ ও বিশেষ মাটি ব্যবহৃত হলেও তাও নদীতে পড়ে গিয়েছে। এখন গ্রামবাসীদের একটাই চিন্তা, বাঁধ ভেঙে গেলে তাঁদের রক্ষা করবে কে? বর্তমানে অনেকেই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ঠিকাদারদের দায়সারা কাজ! মাশুল গুনতে হচ্ছে কেতুগ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীদের, দুশ্চিন্তায় দু'চখের পাতা এক করা দায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল