সূত্রের খবর, এই রাজ্যে ১০টির বেশি জায়গায় এই কাজ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে থাকা যে সমস্ত জাতীয় সড়ক রয়েছে সেখানেই এই ব্যবস্থা করা হতে চলেছে। এই প্রকল্পে ভারতীয় বায়ুসেনা ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বেলদা থানার বাখরাবাদ থেকে পোক্তাপুল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর তৈরি হতে চলেছে জরুরী কালীন যুদ্ধ বিমান ওঠানামার ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে এর জন্য ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
advertisement
এছাড়া রাজ্যের অন্যত্রও চলছে রাস্তার মাপ গ্রহণ প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর প্রায় প্রতিদিনই ভারত চীন সীমান্ত এলাকাগুলিতে যখন উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সময় এই কাজ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখান থেকে কাছেই রয়েছে কলাইকুন্ডা এয়ার বেস। যা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি এয়ার বেস। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে এই জায়গা থেকে সিকিম রাজ্যের পাশে চিন সীমান্তে উড়ে যেতে বায়ুসেনার ২০ মিনিট সময় লাগবে।
তাই একই সঙ্গে দেশের ভেতরে মোট তেরোটি জায়গায় এই আপৎকালীন যুদ্ধ বিমান ওঠানামার ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেল। এই রানওয়ে তৈরির জন্যে, এর জন্যে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশের প্রস্তাবিত এলাকার দু দিকে প্রায় ৩০ মিটার করে জায়গা নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কের দুই লেনের মাঝের কংক্রিটের ডিভাইডার সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেই জায়গা সমান্তরাল করে এই আপৎকালীন রানওয়ে তৈরি হবে। ৫ কিলোমিটার লম্বা হতে চলেছে এই রানওয়ে। জাতীয় সড়কের ওপরে তৈরি হওয়া রানওয়ে নিয়ন্ত্রণ হবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায়। এর জন্যে কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে বলে জাতীয় সড়ক সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: অমিতাভ থেকে আমির, বলি তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল সুব্রত দত্তের, দেখুন ছবি
প্রসঙ্গত এই প্রস্তাবিত এলাকায় বহু দিন আগে এই পরিকল্পনা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা আটকে ছিল। অবশেষে চিন সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনার পারদ যখন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই দিকের কথা ভেবে এবং আপৎকালীন অবস্থার কথা চিন্তা করে এই কাজ শুরু করে দেওয়া হল।
জাতীয় সড়ক সূত্রের খবর, যে সকল জাতীয় সড়কের কাছে এয়ারবেস রয়েছে সেখানেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বেলদা থেকে কিছুটা দূরেই খড়্গপুরের কাছে রয়েছে কলাইকুন্ডা এয়ার বেস ক্যাম্প। তাঁর জন্য বেলদার এই বাখরাবাদ অঞ্চলটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এখন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ করতে চায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাকি কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে সাত মাস মতন। জাতীয় সড়কের ওপরে শুধু গাড়ি নয়, বিমান নামবে, এটা জেনে দারুণ খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সড়কের অধিকর্তা জানিয়েছেন, আমরা আগামী মার্চ মাস থেকে এই ব্যবস্থা চালু করে দেব। বাকি স্থানগুলি নিয়ে আমাদের দফায় দফায় বৈঠক চলছে।