TRENDING:

নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে ঐন্দ্রিলার নাম! বহরমপুরের বাড়িতে আর ফিরবে না বাড়ির মেয়ে, স্মৃতিতে ভাসছে 'ইন্দ্রপ্রস্থ'...

Last Updated:

কোনও কিছুতেই হারতে চাইত না। পাড়ার অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিযোগিতাতে প্রথম না হলে কান্না জুড়ে দিত ছোট্ট ঐন্দ্রিলা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বহরমপুর: রবিবারের বার বেলাতেই শোকের ছায়া পৌঁছে গিয়েছিল বহরমপুরে। বহরপুরের ইন্দ্রপ্রস্থর ৪ তলা বাড়িটার নেমপ্লেটে বাবা মা ও দিদির সঙ্গে তার নামটাও জ্বলজ্বল করছে। পাড়া প্রতিবেশীরা তার ছোট বেলার লড়াইয়ের কথা বলতে বলতে চোখের জল ফেলছিলেন। হাসি খুশিতে পরিপূর্ণ মেয়েটা যে এভাবেই চলে যাবে তা কেউ বুঝতে পারেনি। প্রতিবেশি জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় বলেন শনিবারও তার বাবার সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পেরেছিলেন যে একমাত্র মিরাকেলেই সম্ভব ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনা। আর তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে বলেছিলেন বাবা উত্তম শর্মা।
শোকের ছায়া বহরমপুরে
শোকের ছায়া বহরমপুরে
advertisement

বহরমপুর শহরের মানুষও দিন রাত প্রার্থনা করছিলেন তাদের একান্ত আপনার ঐন্দ্রিলাকে যেন রক্ষা করেন সৃষ্টি কর্তা। শেষ রক্ষা আর হল না। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা ঐন্দ্রিলা ও তার দিদি বহরমপুরের কাশেশ্বরী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। ২০১৫ সালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালীন মারণ রোগে আক্রান্ত হয় ঐন্দ্রিলা। একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা চলাকালীন খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেও কিন্তু হাল ছাড়েননি ঐন্দ্রিলা, অসুস্থ অবস্থায় দুটো পরীক্ষা স্কুলের মধ্যেই দিয়েছিলেন, এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেইসময় ঐন্দ্রিলা স্কুলের শিক্ষিকাদের জানান তিনি পরীক্ষা দেবেন। ওই অবস্থাতেই হাসপাতালের বেডে শুয়েই পরীক্ষা দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা চৈতালী চট্টপাধ্যায়।

advertisement

আরও পড়ুন : 'ওপারে ভাল থাকিস'... চোখের জল, লিপস্টিক আর চন্দনে ছোটবোনকে শেষবারের মতো সাজালেন দিদি

আরও পড়ুন : শেষ যাত্রায় ঐন্দ্রিলা শর্মা, চোখের দেখা দেখতে হাসপাতালে উপচে পড়ল ভিড়, স্বজনহারা শোক 'দূরের' মানুষদের চোখেও...

নাচ গান পড়াশোনা সব গুণই ছিল মিষ্টি মেয়েটির। কোনও কিছুতেই হারতে চাইত না। পাড়ার অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিযোগিতাতে প্রথম না হলে কান্না জুড়ে দিত। বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেই ও প্রথম হত। ঐন্দ্রিলাদের বাড়িতেই ভাড়া রয়েছেন সুস্মিতা দে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বাবা মায়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, ভেবেছিলাম হয়ত সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরলেই হইহুল্লোড় করে মেতে থাকত। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

অন্য প্রতিবেশি জাহ্নবী চট্টোপাধ্যায় বলেন, জুলাই মাসে শেষ এসেছিল। তারপরই আসার কথা ছিল পুজোতে কিন্তু আসতে পারেনি। তার পরেই অসুস্থ হয়ে গেল। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওঁরা অপেক্ষায় ছিলেন হয়ত মেয়েটাকে শেষ দেখতে পাবেন কিন্তু কলকাতাতেই শেষকৃত্য হওয়ায় দেখা আর হল না। টিভিতে চোখ রেখেই ওকে শেষ দেখা দেখলাম। ঈশ্বর ওকে ভালো রাখুক।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে ঐন্দ্রিলার নাম! বহরমপুরের বাড়িতে আর ফিরবে না বাড়ির মেয়ে, স্মৃতিতে ভাসছে 'ইন্দ্রপ্রস্থ'...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল