দক্ষিণবঙ্গের একটি সুপ্রাচীন জনপদ হল সোনামুখী, যা কালী ও কার্তিকের শহর নামে পরিচিত। আজ থেকে প্রায় ৪২০ বছর আগে এই শহর ছিল ঝোপঝাড়ে ভরা, শহরের অলিগলিতে সেভাবে জনমানবের বসবাস শুরু হয়নি। আজকের জনপদ সেই সময় জনগণ-শূন্য হলেও একটা সুপ্রাচীন ইতিহাস বহন করে চলত, যা হল কালীপুজোর ইতিহাস। এই ব্যস্ত শহরেই শহুরে জীবনের পাশে একটি ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে ৷
advertisement
শোনা যায়, একসময় এই প্রাচীন জনপদের বাসিন্দাদের আর্থিক অনটন ছিল চরমে। সেই সময় পরিবারের মুখে খাবার জোগাতে সোনামুখীর আদি বাসিন্দা সূত্রধর পরিবারের এক বিধবা রমণী চিঁড়ে ফেরি করতে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতেন। লোকমুখে প্রচলিত, এরপর এমন কিছু ঘটে যার জন্য আকড় গাছের নীচে দুই শিলা এবং মন্দির স্থাপন করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কয়েকদিন পরেই কালীপুজো। তার আগে হটনগর কালী প্রস্তুত। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। সোনামুখীর বাসিন্দাদের বহু বিশ্বাস এবং ভরসার জায়গা এই দেবী। কালীপুজোর রাতে এই মন্দিরের সামনে মানুষের ঢল নামে। সুবিশাল মন্দিরের ভিতর অধিষ্ঠান করছে মায়ের বড় একটি মূর্তি। ইতিমধ্যেই লাগানো হচ্ছে মায়ের কেশ। কালীপুজোর আগে জোরকদমে চলছে তোড়জোড়।