সেই অর্থে চাষ লাভজনক হচ্ছে না। তার চেয়ে বিকল্প হিসেবে রাজমিস্ত্রি বা অন্য ক্ষেত্রে মজুর খেটে তুলনায় বেশি রোজগার হচ্ছে। তার উপরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে হয়। ঠিক এই অবস্থা এখন মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার ধনিরামপুর, জয়পুর, বালিবোনা, দেবীপুর, মহিষমারী সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেখানে কলাই চাষ এবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে।
advertisement
আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পর নতুন আতঙ্ক! জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে হামলে পড়ল বন্যপ্রাণী, আহত
একনাগাড়ে ভারী থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা জমি জলমগ্ন। এক হাঁটু জলে ডুবে কলাই ক্ষেত। ফলে চাষিরা কার্যত সর্বনাশের মুখে দাঁড়িয়েছেন। চোখের সামনে কলাই গাছ জলে পচে যাচ্ছে, অথচ করার কিছু নেই! চাষিরা জানিয়েছেন, ২ বিঘা ৫ কাঠা জমি। কিছু নেই। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখনও জমিতে হাঁটুর পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। যা পরিস্থিতি কলাই হবে না। এতো বৃষ্টিতে কলাই হয়? সরকার সাহায্য করলে খুব ভাল হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার তাঁর জীবনও দুর্যোগে ভরেছে। দুই বিঘা জমিতে কলাই চাষ করেছিলেন। সার, বীজ, শ্রমিকের খরচ, সব মিলিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ভাদ্র মাসে লাগানো এই মাষকলাই প্রায় ৫০০০ বিঘে জমিতে চাষ হয়। চর এলাকায় চাষ হয়। ফলে বড় ক্ষতির মুখে কৃষকরা। জলঙ্গী ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা অরিত্র সাহা বলেন, এই বিষয়ে রিপোর্ট নেব। কলাই বাংলা শস্য বিমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। ধানে কারও ক্ষতি হলে তাঁরা সাহায্য পাবেন।