আরও পড়ুন : 'উনি ভুলে গিয়েছেন উনি আমার বাড়িতে ৯ তলায় এসেছিলেন', সাক্ষাৎকারে কার কথা বললেন বৈশাখী?
আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ওই গ্রামের সমস্যার কথা শুনেছি। যাতে শীঘ্রই ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়াও ওই গ্রামে অনুন্নয়নের যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলোও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে'। খবর নজরে আসতেই সেই গ্রামে যান স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। গ্রামটি তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিণের অন্তর্গত। গ্রাম পরিদর্শন করে অগ্নিমিত্রা পাল জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দরবার করেছি যাতে দ্রুত এই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই গ্রামের সত্যিই কোনো উন্নয়ন হয়নি পুরসভার তরফে। আমার বিধায়ক তহবিল থেকে গ্রামের উন্নয়নে উদ্যোগী হব' (Agnimitra Paul)।
advertisement
আরও পড়ুন : 'উনি ভুলে গিয়েছেন উনি আমার বাড়িতে ৯ তলায় এসেছিলেন', সাক্ষাৎকারে কার কথা বললেন বৈশাখী?
জামুরিয়া তিলকা মুর্মু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক করোনাকলে রাস্তায় রাস্তায়, পাড়ায় পাড়ায়, খোলা আকাশের নিচে স্কুল তৈরি করেছিলেন। পড়ুয়াদের পড়াশোনার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। সেই তখন থেকেই শুরু দুয়ারে শিক্ষা পরিষেবা। যে গ্রামে এখনও স্কুল নেই। যে গ্রামে শিক্ষার ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই। বিদ্যুৎ নেই। সেই গ্রামেই ছোট ছোট পড়ুয়াদের তিনি এখন শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্রতী হয়েছেন। রাস্তার দু'পাশে মাটির বাড়ি। আর সেখানে রয়েছে দাওয়া। সেখানেই দেওয়ালে দেওয়ালে ব্ল্যাকবোর্ড তৈরি করে চলছে পঠন পাঠন। শিক্ষক দীপ নারায়ণ নায়েকের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন অগ্নিমিত্রা পাল। পাশাপাশি সরকারকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি গেরুয়া শিবিরের এই বিধায়ক। স্বাধীনতার এত বছর পরেও গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান না করতে পারাটা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য অগ্নিমিত্রা পালের।
