দীপক শর্মা, আসানসোল: নিজের বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচে ব্যর্থ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। জেলায় সবার থেকে পিছিয়ে বিজেপির এই বিধায়ক। তাঁকে লড়াই আন্দোলনে দেখা যায় যতটা, ততটা উন্নয়নে নয়। অভিযোগ উঠছে এমনই।
advertisement
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেননি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। আর এই তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বোরো চেয়ারম্যান ডাক্তার দেবাশিষ সরকার। আরটিআই করে এই তথ্য পেয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। এই তথ্য সামনে আসতেই শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক।
আরও পড়ুন: অবশেষে কল্যাণের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অভিষেক! তারপরেই কল্যাণ যা বললেন, শুনে চমকে উঠবেন! কী হল জানেন?
‘পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই‘ কর্মসূচিতে তিনি প্রায় দিন জনসংযোগ করেন। আসানসোল দক্ষিণের সেই বিধায়ক নিজের বিধায়ক তহবিলের খরচে সব থেকে বেশি পিছিয়ে। বিধায়ক হিসেবে কাটিয়ে দিয়েছেন ৪ বছর। হাতে বাকি আর কয়েকটা মাস। বছর ঘুরলেই ২৬ সালের বিধানসভা ভোট। তার ঠিক আগে অগ্নিমিত্রার বিধায়ক তহবিলের খরচের হিসেব দেখলে হতাশ হতে হবে সবাইকে।
জানা গেছে, অনুমোদিত স্কিমের সংখ্যা মাত্র ১১টি। অনুমোদিত অর্থ ৮৮ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। অথচ, প্রতি অর্থবর্ষে দুই কিস্তিতে ৬০ লক্ষ টাকা করে খরচ করার সুযোগ রয়েছে বিধায়কের। অর্থাৎ চার বছরে তিনি খরচ করতে পারতেন প্রায় ২’কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর মতো লড়াকু বিধায়ক কেন নিজের এলাকার ভোটারদের কথা ভেবে তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজ করাতে পারলেন না। আসানসোল পুরনিগমের বরো চেয়ারম্যান ডাক্তার দেবাশিষ সরকার বলেন, ‘আমি আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম, আসানসোলের বিধায়ক তহবিলের কত টাকা খরচ করেছেন? উত্তর এসেছিল, প্রথম দুটি অর্থবর্ষে তিনি বিধায়ক তহবিলের কোনও টাকাই খরচ করেননি।”
বিরোধীদের অভিযোগ, অগ্নিমিত্রা এলাকার উন্নয়ন থেকে রাস্তাঘাটে আন্দোলন করেন, পথ অবরোধ করে বেড়ান। স্টান্টবাজি করেন। সিপিএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ”উনি ধর্মীয় বিভাজন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। উন্নয়ন করবেন কীভাবে?” অগ্নিমিত্রার অবশ্য সাফাই, বিরোধী দলের বিধায়ক বলে সব ক্ষেত্রেই বাধা পাচ্ছেন। কোথাও কোথাও সরকারি জমি পাচ্ছেন না। সরকারি ভাবে প্রজেক্ট গুলি বিলম্ব করে দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত কাজগুলির অনুমোদন দিতে বিলম্ব করা হচ্ছে।