স্কুলে আসার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে তৃতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়া ৷ প্রতিদিনের মত শুক্রবারও স্কুলে এসেছিল। শেষ পিরিয়ড চলার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন শিক্ষিকারা ৷ পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সরানো হয় অন্য হাসপাতালে ৷ সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। থানায় এফআইআর নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। স্কুল থেকে মিলেছে ওই পড়ুয়ার ছেঁড়া জামা৷ স্কুলে কোনও হাতাহাতি হয়নি বলেই দাবি শিক্ষকদের ৷ তাহলে পড়ুয়ার জামা ছিঁড়ল কীভাবে? পড়ুয়ার মৃত্যুর পরও তদন্ত শুরু হল না কেন? ক্লাসরুমের সিসিটিভি ফুটেজই বা দেখানো হল না কেন? গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
অভিভাবকদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করেই দায় এড়ায় স্কুল ৷ অন্য এক ছাত্রের সঙ্গে স্কুলে ওই পড়ুয়ার মারামারি করার ঘটনা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক ও অভিভাবকদের জানাননি বলে অভিযোগ ৷ স্কুলে নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আন্দুল রোড অবরোধ করে অভিভাবকেরা ৷ বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবারও বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নামান হয়।