ভোটের সময় থেকেই চলছে হিংসা ৷ বোমাবাজি, গুলির লড়াইয়ে মাঝেমধ্যেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই এলাকা। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ভাটপাড়া৷ গুলিতে নিহত হলেন ২ স্থানীয় যুবক৷ মৃতদের নাম সন্তোষ সাউ ও রামবাবু সাউ৷ আহত অবস্থায় আরও ৪ জন ভর্তি বেসরকারি হাসপাতালে ৷ এলাকায় নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷
advertisement
এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের। তার আগেই ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডবে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাটপাড়া ৷ বৃহস্পতিবার, সকাল নটা নাগাদ, নতুন তদন্তকেন্দ্র উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত পুলিশকর্তারা। আচমকা তদন্তকেন্দ্রের সামনে শুরু হয় বোমাবাজি। বিভিন্ন গলি থেকে মুহুর্মহু উড়ে আসতে থাকে বোমা। চলে গুলিও। পুলিশ ধাওয়া করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় যুবক রামবাবু সাউ ও মিষ্টি বিক্রেতা সন্তোষ সাউ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। জখম বেশ কয়েকজন।
পুলিশ প্রথমে পিছু হটলেও, পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। নামে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। আহতদের কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ধরমবীর সাউ নামে এক ফুচকা বিক্রেতার। সন্তোষ সাউ, বিক্রম বর্মা ও প্রদীপ সাউয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়েছে। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।