গতকাল রাতে নদিয়ার শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলের সাহেবডাঙ্গা গ্রামে পরপর দুটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে৷ নঈম শেখের বাড়ি থেকে পাওয়ারলুমের ব্যবহৃত কিছু লোহার জিনিসপত্র যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা, এছাড়াও নগদ দুই হাজার টাকা চুরি গেছে বলে জানায় তার স্ত্রী ফতেমা বিবি শেখ । তিনি বলেন বাইরের দরজায় তালা দেওয়া ছিল কিন্তু ঘরের দরজা শুধুমাত্র শিকল দেওয়া ছিল, অন্য বাড়ির প্রাচীর থেকে উঠে এই দুষ্ককর্ম করেছে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
কিছুটা দূরেই মফিজুল শেখের বাড়িতেও দোতলার ঘরে তছনছ করে দুষ্কৃতীরা দুই ছেলে মইনুদ্দিন এবং শরীয়ত সহ মফিজুল বাবু থাকেন সৌদি আরবে। তার স্ত্রী রহিমা বিবি আর পাঁচটা সাধারণ রাতের মতই গতকাল রাতে শুয়েছিলেন নিচের ঘরে। প্রতিবেশীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে৷ তিনি জানতে পারেন উপরের ঘরে আগুন জ্বলছে৷ যদিও উপরের ঘর দুটি তালা লাগানো ছিল না। তবে বাড়ির সদর দরজায় তালা লাগানো থাকলেও পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির ছাদ থেকে একই দেয়ালে তাদের উপরের দোতলার ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা এমনই অনুমান করা হচ্ছে। তবে আগুন এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে প্রতিবেশী প্রায় ৫০ জন দীর্ঘ তিন ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও ততক্ষণে দুটি ঘরের কাঠের খাট, সোফা, ড্রেসিং টেবিল এবং এসি সহ ব্যবহার্য সকল জিনিসপত্র পুরোটাই ভস্মিভূত হয়ে গেছে। সেই সময়ে দমকলে খবর দেওয়া হয়নি কারণ এলাকাবাসীরা বলেন অত্যন্ত ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা৷ সরু গলি চারিদিকে চওড়া কোন রাস্তায় নেই তাই সেখানে দমকল হয়তো পৌঁছানো সম্ভব নয়৷ তাই ভেবেই তারা নিজেরা আগুন নেভানোর কাজে মনসংযোগ করেন। তবে এলাকার নির্ঝঞ্ঝাট এই পরিবারে শুধু চুরি নয় তার সঙ্গে অগ্নি সংযোগ হওয়ার কারণে শত্রুতার বিষয় মনে হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সচ্ছলভাবে থাকার কারণে কারোর ঈর্ষা হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
তবে স্থানীয়ভাবে কেউ যুক্ত না থাকলে দরজা বন্ধ অবস্থাতেও পাশের বাড়ির ছাদ থেকে ঢোকা কিংবা অত্যাধিক জনপ্রিয় এলাকার মধ্য দিয়ে অবাধে চলাফেরা করা সম্ভব নয় তাই তাদের অনুমান এর সঙ্গে স্থানীয় কেউ যুক্ত আছে। তবে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে যাওয়া দুই ঘরে চুরি ও হয়েছে বলে জানিয়েছেন রহিমা বিবি। তিনি বলেন দুই বৌমার দু তিন ভরি এবং তার নিজস্ব প্রায় পাঁচ ভরি সোনা এবং এক লক্ষ টাকা আর নেই। তবে এই বাদেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র নথি চুরি গেছে না পুড়ে গেছে তা বোঝা সম্ভব হয়নি।
যদিও বুধবার সকালে স্থানীয় মেম্বার কালাম উদ্দিন মণ্ডল এবং শান্তিপুর থানা থেকে আগত পুলিশ প্রশাসন প্রতিনিধিদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল কিছু চুরি হয়নি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়।
বিদেশে থাকা তার পরিবার সদস্যরা জানান প্রাথমিকভাবে কিছুই জানানো সম্ভব হয়নি তবে যতই বেলা বাড়ছে ততই ঘরের মধ্যে কার জিনিসপত্র খতিয়ে দেখে এবং বাপের বাড়িতে থাকা দুই বৌমা আসার পর সৌদি আরবে দুই ছেলের সঙ্গে কথা বলে ঘরের জিনিসপত্র সম্পর্কে নানান তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণেই চুরির জিনিসপত্র সম্পর্কে দ্বিমত হয়েছিল সকালে। তবে সৌদিতে থাকা এক ছেলে জানিয়েছেন সোনা পরবর্তীতে পাওয়া গেছে তবে এখনও পর্যন্ত টাকা মেলেনি। আশেপাশে কোন সিসি ক্যামেরা না থাকলেও পুলিশ প্রশাসন খতিয়ে দেখছে, রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
Mainak Debnath






