#ব্যারাকপুর: তৃণমূল কংগ্রেসক ত্যাগ করলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। দলের সুপ্রিমোকে পাঠালেন পদত্যাগপত্র। তৃণমূল কংগ্রেসে বিদ্রোহ আজ চারিদিকে। ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বেসুরো ছিলেন গত কয়েক মাস ধরেই । আজ সেই সুর সপ্তমে চড়িয়ে তৃণমুল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দিলেন নিজের দলত্যাগের পত্র। শুধুই দল ত্যাগ নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকেও ত্যাগ করছেন তার ইঙ্গিতও দিলেন নিজের অফিসের ছবি ও আঙ্গিক পরিবর্তন করে।
advertisement
রাজ্যে পরিবর্তনের আন্দোলনের ফসল ছিলেন শীলভদ্র দত্তের মত বহু রাজনীতিক। আজন্ম কংগ্রেসী ঘরনার রাজনীতিতে বেড়ে ওঠা শীলভদ্র দত্তের রাজনীতির শুরু কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে। রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল রায়ের শিবিরের লোক বলতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন তিনি।বিদ্রোহী শীলভদ্র বারবার তৃণমূলের সদস্য থাকাকালীন মুকুল রায়ের বিধান নগরের বাড়িতে ছুটে গিয়েছেন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্ক রক্ষার দোহাই দিয়ে। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ও তাঁকে কোলে টেনে নিয়েছেন নিজের ছোট ভাইয়ের মত করে।
তবে শীলভদ্র দত্ত এই দিন নিজের অফিসে নরেনের ছবি লাগিয়ে আর এক নরেনের ভক্ত হলেন কি না সে কথা খোলসা করে বলেননি তিনি। তবে ব্যারাকপুরে তাঁর অফিসে আর পাঁচ জন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার মত মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমর ছবি থাকত বিরাট আকারে। আজ সকালে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগের পরই শীলভদ্র সেই ছবি পাল্টে স্বামী বিবেকান্দের বিশাল মাপের ছবি টাঙিয়ে দিলেন। গেরুয়া বসনধারী এই সন্ন্যাসী আবার দেশের প্রধানমন্ত্রীরও আদর্শ। তাহলে কি মমতার আদর্শ ছেড়ে দিলেন শীলভদ্র দত্ত? দল ত্যাগের পরও পোড় খাওয়া শীলভদ্র পরিস্কার করলেন না সে কথা। শুধু বললেন, সব কথা এখনই বলবেন না, চমক আরও বাকি আছে ।
গতকালই তাঁর অসুস্থতার জন্য তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা অর্থ সাহায্য করেছিলেন তাঁদের ঋণ শোধের মধ্য দিয়ে নতুন দিশার সূচনা করেছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। আর আজ দলত্যাগ করে পরিস্কার করলেন তাঁর রাজনীতির জীবনে নতুন দিকের পথ।