শুক্রবার জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে লালগোলা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধারে এলে পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে শহিদুলের। জেলা পুলিশ সুপার কে শাবেরী রাজকুমার বলেন, ''ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও কোন অভিযোগ জমা পড়েনি।''
বুধবার রাতে নসিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চমকপুর মিস্ত্রীপাড়ায় আমবাগানে বসেছিল জুয়ার ঠেক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালগোলা থানার পুলিশবাহিনী সেখানে হানা দেয়। শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়, পুলিশের লাঠির ঘায়ে দিক বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে সকলে। আহত হয় বেশ কয়েকজন। ৮জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জুয়ার আসরে থাকা শহিদুল হক পুলিশের ভয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পাশের জলাশয়ে ঝাপ দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিষপান করা সেই ৫ শিক্ষিকা এবার তৃণমূলে! গোটা সংগঠনই যোগ দিচ্ছে ঘাসফুলে
আরও পড়ুন: প্রার্থী খুঁজুন আগে, বাবুলকে কটাক্ষ করতেই দিলীপ ঘোষ হলেন 'এন্টারটেইনমেন্ট প্যাকেজ'
গ্রামবাসীরা জলাশয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শুক্রবার সকালে জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় শহিদুলের মৃতদেহ। পুলিশ দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এতেই গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরিবারের অভিযোগ পুলিশের মারে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে শহিদুলের। আত্মীয় সেতারা বিবি বলেন, ''আমার ভাইকে পুলিশ মেরে ফেলল। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। সংসার কী করে চলবে। আমরা বিচার চাইছি।'' প্রত্যক্ষদর্শী আলি হাসান বলেন, রাতে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ শুরু করলে সকলে পালাতে শুরু করে। পাশেই পুকুরে ঝাঁপ দেয় অনেকেই। পরে জানতে পারা যায়, শহিদুল জলে পড়ে গিয়েছে।