অষ্টমীর দুপুর থেকে বর্ধমান শহরের দুটি মণ্ডপের ভেতরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন জানিয়ে দেয়। ওই দুই মণ্ডপে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে হচ্ছে দর্শকদের। সেই সিঁড়ি ভেঙে বিপত্তি ঘটতে পারে বলে পরিদর্শনের পর জানায় প্রশাসন।
আরও পড়ুন- যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যই শেষ কথা, ভিস্তারার কিছু উড়ানে চালু করা হল লাইভ টিভি
advertisement
আরও পড়ুন- অসুরের মুখ যেন মহাত্মা গান্ধি ! তুমুল বিতর্কের পর বদলানো হল মূর্তির মুখ
বর্ধমান শহরের সর্বমিলন সঙ্ঘ ও চৌরঙ্গী ক্লাবের মণ্ডপ দুটিতে সোমবার পরিদর্শনে যান পুলিশ ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। পূর্ত দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় মণ্ডপে প্রবেশ করার পথ শক্তপোক্ত নয়। দর্শনার্থীদের বিপদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুটি মণ্ডপই বিশাল উঁচু। মণ্ডপে প্রবেশ করতে হলে দর্শনার্থীদের পাটাতন দিয়ে অনেকটা উঁচুতে দিয়ে উঠতে হচ্ছে। কিন্তু সেই পাটাতন ততটা শক্তপোক্ত নয় বলে মনে করছেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। এই দুই মণ্ডপে প্রচুর সংখ্যায় দর্শনার্থী ভিড় করছেন।স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দুপুর দুটো থেকে দর্শকের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। সর্বমিলন সংঘ দ্রুততার সঙ্গে ত্রুটি মেরামতের কাজ শুরু করে। ফের সন্ধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য পরিদর্শন হয়। ৩০ জনের ওপর স্বেচ্ছাসেবককে চাপিয়ে পরীক্ষা করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে পরিদর্শনের পর জানিয়ে দেওয়া হয় ২৫ জন দর্শক এক এক দফায় মন্ডপ পরিদর্শন করতে পারবেন। তাদের সঙ্গে সর্বাধিক সাতজন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকতে পারবে। পঁচিশ জন মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরের দফার দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। সেই শর্তেই সর্ব মিলন সঙ্গে প্রতিমা দর্শন চলছে। অন্যদিকে চৌরঙ্গী ক্লাবে প্রতিমা দর্শনের জন্য বিকল্প পথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই পথ দিয়েই দর্শনার্থীরা প্রতিমা দর্শন করতে পারছেন। ওপরে না উঠে বাইরে থেকে মণ্ডপ পরিদর্শন করছেন দর্শনার্থীরা।
শরদিন্দু ঘোষ
