প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ক্রেতারা চা সঙ্গে কাপ খেতে হাজির হচ্ছে মানুষ। সারাদিনে চা খাবার প্রতি আগ্রহ বাংলার মানুষের। বিশেষ করে যুব সাজের কাছে ফ্লেভার চা দারুণ পছন্দের। সারাদিন চা স্টল গুলিতে যুবক-যুবতীদের ভিড় থাকে, তবে সন্ধ্যায় আরও ভিড় থাকে জমাটি। আবার এই শীতের মরশুমে আরও চা এর প্রতি আগ্রহ থাকে, অনেকই এক কাপে সন্তুষ্ট নয়। এমন সময় জেলার চা প্রেমীদের নজরে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট সংলগ্ন ‘কেশরিয়া টি স্টল ‘ যেখানে বিভিন্ন ফ্লেভারে চায়ের সঙ্গে মিলছে চা’য়ের কাপ খাবার সুযোগ।
advertisement
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত জেলার মানুষের কাছে চা দোকান বলতে লিকার চা অথবা লেবু চা সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট এর সম্ভার। কিন্তু বর্তমান সময়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রেতাদের চাহিদার উপর চায়ের দোকানে এসেছে নতুনত্ব। বহু যুবক-যুবতী ফ্লেভার চা বিক্রি করে স্বনির্ভর।
গত কয়েক বছর আগে হাওড়ার সালকিয়া এলাকায় চা প্রেমী এক পড়ুয়ার দেখিয়ে দিয়েছিল চা বিক্রি করেও ভাল টাকা উপার্জন করা যেতে পারে। পড়ুয়ার কথায়, পছন্দসই ফ্লেভার চা এবং প্রেজেন্টেশন ভাল ভাবে করতে পারলে চা দোকান থেকেই মোটা টাকা উপার্জন করা যেতে পারে। সেই দোকানের চা খেতে হিড়িক লেগে যেত স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের। তারপর গঙ্গা নদী সংলগ্ন এই চা দোকানে চা খাবার হিড়িক ক্রেতাদের।
কিছুদিন আগেই মাত্র ১৫ টাকায় কেশর চা খাবার মানুষের ঢল দেখা গিয়েছে হাওড়ার কেশরিয়া টি স্টলে। সেই সঙ্গে আরও আকর্ষণীয় নানারকম ফ্লেভার চা ও বিভিন্ন খাবার। এবার চকলেট ও মালাই চা-এর সঙ্গে খাস্তা কাপ, যা চিবিয়ে খেয়ে নেওয়া যাচ্ছে। তাতেই বাড়ছে ক্রেতাদের আগ্রহ। প্রতিদিনই ক্রমশ বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।
রাকেশ মাইতি