মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর প্রশাসনের তরফ থেকে কলকাতার পাশাপাশি প্রতিটি জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে অভিযান শুরু হয়েছে। নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচা সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও যেন লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না ঊর্ধ্বমুখী শাক-সবজির দামে। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসতের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা থেকে বিক্রেতাদের মুখোমুখি হয়ে তারই আভাস মিলল।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা, জল বের করতে জোর লড়াই
অনেকেই মনে করছেন, বর্ষা দেরিতে ঢোকার কারণে এবং বৃষ্টির ঘাটতির জেরে সবজি উৎপাদনে চাষিদের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফলনও কমেছে অনেকাংশে। আর সেই কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম। অপরদিকে ক্রেতাদের আরেকটি অংশ মনে করছে, চাষিদের থেকে বাজারে আশার মধ্যবর্তী পর্যায়ে ফোরেদের দাপটেই এতটা দাম বেড়েছে। বে নজরদারি চালানোর পর কিছুটা হলেও কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। যে আলু ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল সেটাই এখন কমে হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। পটলের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বেগুনের দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি। সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। শশা ছিল ৬০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে ধনেপাতা, শাক, পেঁপে, ঢ্যাঁড়সের দাম প্রায় একই আছে বলে জানা গিয়েছে।
রুদ্রনারায়ণ রায়