৮ই নভেম্বর। একই সময়ে বর্ধমান স্টেশনে পাশাপাশি দুটি ট্রেন ঢোকার ফলে ফুট ওভারব্রিজে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে, পদপিষ্ট হয়ে এক শিশু-সহ এগারজন জখম হন।
ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে উদ্যোগী হয় আরপিএফ, জিআরপি। ইতিমধ্যেই বর্ধমান স্টেশনের দু'টি ফুট ওভারব্রিজেই শুরু হয়েছে বাড়তি নজরদারি। সেখানে যাত্রীদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছেনা।
বিপত্তি এড়াতে দফায় দফায় বৈঠক করেন হাওড়া ডিভিশন ও বর্ধমান স্টেশনের রেলকর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গাংপুর বা তালিত স্টেশনে ট্রেন ঢুকলেই বর্ধমান স্টেশনে ঘোষণা হবে। লোকাল ট্রেন দেরিতে ঢুকলে সময়ে ছাড়ার ব্যাপারে তৎপরতা দেখানো হবে না। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ মিনিট পর প্লাটফর্ম থেকে ট্রেন ছাড়বে। স্টেশনে বারোটি ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হবে। জায়ান্ট স্ক্রিনে ট্রেনের গতিবিধি জানানো হবে।
advertisement
যাত্রীদের অভিযোগ, ওভারব্রিজে ওঠার একটি সিঁড়ি বন্ধ করে তৈরি হচ্ছে এসক্যালেটর। বাকি তিনটে সিঁড়ির মধ্যে একটি ১২ ফুট চওড়া। অন্যগুলি তুলনামূলক ছোট। চার ও পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে একসঙ্গে ট্রেন দিলেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
এই তৎপরতা কতদিন থাকে বা রেলের সিদ্ধান্ত কত দ্রুত কার্যক হয়, তারই অপেক্ষায় যাত্রীরা।