বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা, শক্তিগড়ের ল্যাংচা-সহ রাজ্যের বিখ্যাত সব মিষ্টি এক ছাতার তলায় আনতে বর্ধমানের দু নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি করা হয়েছিল মিষ্টি হাব। কিন্তু ক্রেতার অভাবে বারে বারেই বন্ধ হয়েছে তা। বছর খানেক আগে পাকাপাকিভাবে মিষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই বিল্ডিংয়ে অন্য কিছু করার ভাবনা চিন্তা ছিল জেলা প্রশাসনের। জুন মাসের শেষে জেলা সফরে এসে মিষ্টি হাব কেমন চলছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিষ্টি হাব বন্ধ হয়ে গিয়েছে শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে সেই হাব চালু করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন- অনুব্রতর বাড়িতে কার নির্দেশে সরকারি চিকিৎসক? এবার কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের
আরও পড়ুন- অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে গেল সিবিআই, বন্ধ হয়ে গেল মূল দরজা, তোলপাড় বীরভূম
এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের ডেকে দোকান খুলতে বলা হয়। পাঁচটি স্টল তারপর খুললেও বাকি সব দোকান বন্ধ রয়েছে।মিষ্টি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, দু নম্বর জাতীয় সড়কের যাত্রীদের উপরেই মিষ্টি হাবের বিক্রি নির্ভরশীল। কিন্তু অবস্থানগত দিক দিয়ে ওই হাব কলকাতামুখী রাস্তায় না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও সেখানে বাস দাঁড়াচ্ছে না। তাই মিষ্টি হাব চালু করার ব্যাপারে উৎসাহ পাচ্ছেন না তাঁরা। খোলা থাকা পাঁচটি স্টলৈর ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রথম কিছুদিন বাস দাঁড়িয়েছিল। তাতে কিছুটা বিক্রি হয়েছিল। এখন আর বাস দাঁড়াচ্ছে না। ফলে ক্রেতাদের দেখা নাই। মিষ্টি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন যেসব বাস এখানে দাঁড়াচ্ছিল সেই বাসগুলি শক্তিগড়েও দাঁড়িয়ে ছিল। যাত্রীরা সেখানেই মিষ্টি কেনা বা জলখাবার খেয়েছেন। তাই সেই বাস যখন এখানে দাঁড়াচ্ছে তখন আর যাত্রীরা বাস থেকে নামছেন না।
জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, সবদিক বিবেচনা করেই ওই ব্যবসায়ীরা মিষ্টি হাবে স্টল নিয়েছিলেন। আবেদনের ভিত্তিতেই তাদের স্টল দেওয়া হয়েছিল। তাই স্টল না খোলার জন্য তাদের শোকজ করা হয়েছে৷ ১৬ অগস্ট তাঁদের কথা শোনা হবে। ব্যবসায়ীরা স্টল চালাতে না চাইলে তা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে দেবে জেলা প্রশাসন।