অধীরের আশঙ্কা, ''এলাকা যদি বাড়ানো হয় তাহলে অনেক বড় এলাকা চলে আসবে আর বিএসএফ-এর কাছে। এই এলাকার মানুষ বিএসএফ-কে ভরসা করে না। বিএসএফ-এর উপর অনেক অভিযোগ আছে। ১৫থেকে ৫০কিলোমিটার বাড়ানো হলে অনেক সমস্যা বাড়বে বলে এলাকার মানুষের আশঙ্কা। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি বিধানসভা ডেকে অতি সত্ত্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি যাতে না করে বিএসএফ, তা সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব করা।''
advertisement
আরও পড়ুন: শান্তিকুঞ্জে নতুন আয়োজন, রঙিন পাঞ্জাবিতে সেজে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী
এদিন ত্রিপুরা প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, ''দুর্ভাগ্য এটাই, ত্রিপুরা সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে। ত্রিপুরা সরকার মানুষের জন্য নয়, আরএসএস-বিজেপি দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছে আমজনতা। সাংবাদিক জগতের মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে, বহু আইনজীবী বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় কী ঘটনা ঘটেছে, তা সকলেই জানেন। স্বৈরাচারী সরকার চলছে, তাই সুপ্রিম কোর্টকেও হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।''
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা কি ভিন রাজ্যে? মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে সব নজর ১৫ নভেম্বরের দিকে
এখানেই থামেননি অধীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর সংযোজন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, কিন্তু আমরা স্বাধীনতার বাইরে কথা বলি না। তিনি একজন মহিলা, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলায় শাসকের ভুমিকা পালন করছেন। পশ্চিমবঙ্গে তিনি কাজ করলেও রাজনৈতিক অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। আমরা সেই কারণে মন্তব্য করি, কিন্তু কোন মহিলাকে অপমান করার মতো ভাষা আমরা ব্যবহার করতে পারি না। মুখ্যমন্ত্রীকে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার না করাই ভালো বলে মনে করি। ভিক্টোরিয়াতে মুখ্যমন্ত্রীকে যখন অপমান হতে দেখেছি, বিরোধিতা করেছি। বাংলায় এই ধরনের ভাষা ব্যবহার না করলে ভালো বলে মনে করি। কারণ আমরা মনে করি, রাজনৈতিক ও শালীনতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।''