বহরমপুর শহরের বুক চিড়ে যেহেতু ৩৪ নং জাতীয় সড়ক তাই যানজটে নাজেহাল শহরবাসী। প্রণব মুখোপাধ্যায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ফোর লেনের কাজের সূচনা হয়েছিল। বলরামপুর থেকে মেহেদিপুর অবধি বাইপাস রাস্তার কাজ শেষ। শহরের বাইরে বলরামপুর থেকে মেহেদিপুর পর্যন্ত বাইপাস রাস্তা করে আবার ৩৪ নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই রাস্তা। ভাগীরথী নদীর উপর দ্বিতীয় ব্রিজও তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে বাইপাস রাস্তা।
advertisement
আরও পড়ুন: বড়সড় কোনও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত? চোপড়ার পথেঘাটে পড়ে থাকা রেশন কার্ড ঘিরে রহস্য
কিছু দিন আগে এই রাস্তা দুদিনের জন্য খুলে দেওয়া হলেও ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই রাস্তা চালু করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষেরা। পথযাত্রী নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘কিছুদিন আগে এই বাইপাস রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের যাতায়াতে খুব সুবিধা হয়েছিল। বহরমপুর থেকে আসতে কোনো যানজটের মধ্যে পড়তে হয়নি। আমরা চাই দুর্গাপূজার আগেই এই রাস্তা চালু করে দেওয়া হোক।’
আরও পড়ুন: সৌভাগ্য ফেরাতে আজ কৌশিকী অমাবস্যার রাতে এই কাজগুলি করুন, জানুন জ্যোতিষকথা
দুর্গাপূজার আগে ফোরলেনের মধ্যে অত্যান্ত একটি লেন চালু করা ছাড়াও ব্রিজের নীচে জল নিকাশি ব্যবস্থা ব্রিজের উঠার রাস্তা তৈরি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমানেই দিল্লিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য দুর্গাপুজোর সময় অত্যন্ত একটি লেন চালু করে দেওয়ার জন্য আমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিছু জটিলতা রয়েছে তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অন্যদিকে, সামশেরগঞ্জের গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রদেশ কংগ্রে সভাপতি অধীর চৌধুরী। বুধবার সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ ও মহেশতলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙন বিধ্বস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন। এদিন কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য আবেদন জানান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ভাঙন প্রতিরোধে কোনও প্রকল্প গ্রহণ না করায় কাজ শুরু হচ্ছে না।’
প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়