প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পোস্টার কি তবে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে! সেই জল্পনাই এখন ঘোরাফেরা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলকোটের কিষাণ মান্ডির পাশে এই ব্যানার দেখা গিয়েছে। তাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ছবি দিয়ে তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যানার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেই ব্যানারকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
advertisement
বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই এলাকায় বাড়তি সময় দিচ্ছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এলাকায় সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে গিয়ে বারে বারে তাঁকে দলেরই বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিছুদিন আগেই তিনি জেলাশাসক,জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, এলাকায় বেআইনি বালির রমরমা কারবার চলছে দলেরই একাংশের মদতে। শুধু তাই নয়, তাঁর অনুগামীদের গাঁজা কারবারের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। মিথ্যে কেস দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শাসক দলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের অঙ্গুলিহেলনে সেসব কাজ করে করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর অনুগামীদের দেখে নেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের খবরদারিতে তিনি কাজ করতে পারবেন না। মঙ্গলকোটে তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংঘাতের এই আবহে নতুন সমীকরণের জল্পনা উসকে দিয়েছে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সিদ্দিকুল্লার এই ব্যানার। যদিও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই ধরনের জল্পনার কোনও বাস্তব সম্মত কারণ নেই বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি দলের অনুগত কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি। আগামী দিনেও থাকবো। তাই কারা কি কারণে এই ব্যানার দিয়েছে তা আমার জানা নেই। এই ব্যানারের কোনও ভিত্তিও নেই।
Saradindu Ghosh