সর্দি-কাশি, নিয়ে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ৭০ টিরও বেশি শিশু ভর্তি রয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই জ্বর সর্দি কাশির পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চেনা উপসর্গে ভর করে হানা দিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বলছেন বর্ধমান মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞেরা
advertisement
রোগীর সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকল্প ওয়ার্ডের ভাবনা শুরু করেছেন। শিশু চিকিৎসকদের বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সর্দি, কাশি ও জ্বর সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৪৫টি শয্যা রয়েছে। ক’দিনেই শিশু ভর্তির চাপ এতটাই বেরেছে একটি শয্যায় দু'জন করে শিশুকে রাখতে হচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনে ভর্তি শিশুর সংখ্যা ছিল ২১। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন করে ভর্তি হয় ২৬ জন। স্বাভাবিক কারণে হাসপাতালে আলাদা শিশু ইউনিট খোলার ভাবনা ভাবছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, "আমরা হাসপাতালে আসা সব শিশুকে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। সবরকম নজদারি রাখা হয়েছে। সংখ্যাটা বাড়ায় আলাদা ইউনিট বা ওয়ার্ড তৈরির ভাবনা শুরু করেছি।"
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এরা অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি তবে উপসর্গ অনুযায়ী রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মেনে তাঁদের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বেড়েছে তার ফলে অনেকেই সময় নষ্ট না করে আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছেন।
আক্রান্ত শিশুদের আত্মীয় পরিজনরা বলছেন একই বেডে একাধিক শিশুকে রাখতে হচ্ছে তার ফলে একজনের থেকে অন্যজনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই এই হাসপাতালে শিশুদের জন্য বেড ও চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।