পরনে সাদা শাড়ি, লাল ব্লাউজ,মাথায় ছোট টিপ৷ মাথার উপর কলসী৷ একেবারে সাদামাটা সাজে দেখা দিলেন সায়ন্তিকা৷ আর হবে না কেন, এটা তো ছবির কোনও শ্যুটিং নয়৷ এটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে উৎসব পালন৷ এর মধ্যেও সচেতনায় সবার মুখে মাস্ক নজরে এসেছে৷ অভিনেত্রী নিজেও নিজের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে পরেছেন লাল মাস্ক৷ সকলে মিলে একসঙ্গে হেঁটেছেন গ্রামের রাস্তায়৷ এরই সঙ্গে উৎসের সব নিয়মও পালনও করেছেন সায়ন্তিকা৷
advertisement
বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে এতেও দমে যাননি তিনি৷ কিছুটা খারাপ অবশ্যই লেগেছে৷ কিন্তু তারপর থেকে সেই হারের দুঃখ ভুলে তিনি নেমে পরেছেন পুরোদস্তুর কাজে৷ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন ইউথ দা বস! অর্থাৎ তৃণমূলের যুবনেতা এবং দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে নিজের বস হিসেবে মেনে নিয়েছেন তিনি৷ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মানুষের সেবায় মেতেছেন সায়ন্তিকা৷
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন দুই অমর যোদ্ধা সিধু মুরমু এবং কানহু মুরমু। হিসাব মত এই দুই বীরযোদ্ধাই হলেন ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যোদ্ধা। তাদের নেতৃত্বে ১৮৫৫ সালে স্বাধীনতার লড়াইয়ের জন্য প্রথম গণ-অভ্যুত্থান গড়ে উঠেছিল। ওই বছর ৩০ জুন হাজার হাজার আদিবাসী কৃষক নিয়ে এই দুই নেতা কলকাতার উদ্দেশ্যে ভাগলপুরের ভগনডিহি থেকে রওনা দেন। সে সময়ই বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং ভাগলপুর 'পাহাড়ের ওড়না' এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ছিল।আদিবাসী সমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ এই দুই নেতা কিছু মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন। সিধু ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়লে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে কানুকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়ায় একটি বটগাছে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তবে তাদের লড়াই এখনও অমর হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় এবং তা থাকবেও। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছর পালন করা হয় হুল দিবস। ৩০ জুন ছাড়াও ১ জুলাই এই হুল দিবস পালন করা হবে জেলা জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।