পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির ওই ছাত্রী। একটা সময়ে যে বুঝতে পারে পিছু নিয়েছে কেউ। চেঁচাতে চেঁচাতে সে দৌড়ে স্থানীয় এক ক্লাবে ঢুকে পড়ে। তাঁর পিছু পিছনে থাকা যুবকও সেখানে ঢুকে পড়ে। এরপর চুলের মুটি ধরে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়। সেই সময় ক্লাবের ভিতরে থাকা অন্যদের গায়েও অ্যাসিড লাগে। এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
ক্লাবের সদস্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে সেখানে পৌঁছন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ছাত্রী-সহ সব অ্যাসিড আক্রান্তকেই প্রাথমিকভাবে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকেই ওই ছাত্রীকে এনআরএস-এ রেফার করা হয়। গভীর রাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষাত্রীকে এনআরএস-এ ভর্তি করানো হয়।
ক্লাবের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম অচিন্ত্য শিকারী। সেই ছাত্রীটিকে তাড়া করে ক্লাবে ঢুকে পড়ে এবং মুখে অ্যাসিড দেয়। ছাত্রীর পরিবারের তরফেও অচিন্ত্য শিকারীর নামেই কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনআরএস-এ ভর্তি করানোর পরে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রথমে চোখে দেখতে না পেলেও, পরে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে সে দেখতে পাচ্ছে। হামলাকারী যুবক ছাড়াও এই দলের আরও অনেকে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ওই আক্রান্ত ছাত্রী ও তার পরিবার।