হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পরে সোমবার শহরজুড়ে পুলকার চেকিং শুরু করে পুলিশ। সেই সময় মৌলালি মোড়ে শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ দীনেশের পুলকার থামায় পরীক্ষা করার জন্য। তার লাইসেন্স দেখতে চান শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট মানবেন্দু বিশ্বাস। তখন গাড়ি থেকে নামতে গিয়েই পা হড়কে যায় রমেশের। কাছে আসতেই দেখা যায় রক্তজবা চোখ ও মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে মদের গন্ধ।
advertisement
নিশ্চিত হতে 'ব্রেথ অ্যানালাইজার' নিয়ে এসে পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুধু তাই নয় দীনেশ মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করেছে বলেও রিপোর্ট আসে। পুলকারে থাকা পড়ুয়ারাও জানায় যে চালক অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে তালতলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মোটরযান আইনের ১৮৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় মঙ্গলবার ধৃতকে ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন দেন।
পুলিশসূত্রে খবর, আদালতে জামিন পেলেও এবার তার লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে। তারপর একজন অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার মোটরযান আইন মেনেই দীনেশের লাইসেন্স তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করবেন। করা হবে মোটা টাকা জরিমানাও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার যে অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল দীনেশ, তাতে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। ওই পুলকারে ছিল শিয়ালদহ এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের ১১ জন পড়ুয়া। চালককে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সেই সময় শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডের এক চালক ওই পুলকার চালিয়ে প্রত্যেক পড়ুয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেন।
অভিভাবকদের দাবি, শুধু চালক নয় পুলকারের বেপরোয়াপনা রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলকার মালিকদের বিরুদ্ধেও। কারণ তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলে তবেই তারা দায়িত্বপূর্ণ চালক নিয়োগ করবে। পাশাপাশি প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি বলে মনে করেন অভিভাবকরা।
Sujoy Pal