TRENDING:

অ্যাম্বুলেন্সে করোনা রোগীর মৃত্যু সন্দেহে, চালকের পরিবারকে কটুক্তি ও একঘরে করার অভিযোগ !

Last Updated:

প্রতিবেশীরা তার বাড়িকে করোনা বাড়ি বলে ডাকা শুরু করেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#অশোকনগর: অশোকনগরের ১৬  নম্বর ওয়ার্ডের এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে একঘরে করে রাখার এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকির অভিযোগ পাড়ার মানুষ এবং একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে।   জীবনকৃষ্ণ দে নামে এই অ্যাম্বুলেন্স চালক এদিন জানান গত ১৯ শে এপ্রিল অশোকনগর হাসপাতাল থেকে তার গাড়ি ভাড়া নেয় স্বপন বিশ্বাস নামে এক রুগীর পরিজন।অশোকনগর হাসপাতাল থেকে খালি আ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গুমা চৌমাথায় তার গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে শ্বাস কষ্টে কাতর রোগীকে  তার আ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।ফের অশোকনগরে এক বেসরকারী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানায় চিকিৎসক। জীবন বাবুর দাবী  চাণক্য হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার আগে  সেই হাসপাতালে স্বপন বিশ্বাসের ডায়ালিসস হত বলে তিনি শুনেছেন।সেই রোগীকে তিনি তার গাড়িতে করে নিয়ে এসেছিলেন। আর তার গাড়িতেই ঐ রোগী শ্বাস কষ্টের জন্য মারা গিয়েছে। সেই খবর চাউর হয়ে যেতেই তার  অ্যাম্বুলেন্স করোনা আক্রান্ত রোগীকে বহন করা হয়েছে এমন অভিযোগ সরব  হয় তার পাড়ার বাসিন্দারা।এই অভিযোগ আ্যাম্বুলেন্স চালক জীবন কৃষ্ণ দের।
advertisement

প্রতিবেশীদের দাবি মেনে অশোকনগর থানার পুলিশের তরফ থেকে তার পরিবারকে ১৪ দিন বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয় । তার অভিযোগ প্রতিবেশীরা তার বাড়িকে করোনা বাড়ি বলে ডাকা শুরু করেছে। বাড়িতে রোগী বয়া আ্যম্বুলেন্স টাকেও প্রতিবেশীরা রাখতে দিতে চায় না। এখানেই শেষ নয়। এর পরে তার বাচ্চাকে পড়ানোর যে দিদিমণি তাকে বাড়িতে না আসার হুমকি দেয়  পাড়ার লোকেরা। এমনকি সবসময় বাড়ির সামনে থেকে যারা যাচ্ছে  তারা সব সময় অ্যাম্বুলেন্সের দিকে তাকিয়ে কটাক্ষ করছে । জীবনবাবুর দাবি যিনি মারা গিয়েছেন তিনি আগেই অসুস্থ ছিলেন । তিনি করোনায়  মারা যাননি বলে চিকিৎসক সার্টিফিকেট লিখেছেন । তার পরেও তাকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং একঘরে করে রাখা হয়েছে।  যদিও আজ সাংবাদিকদের সামনেই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল নেতা অসিত দে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের  আশ্বস্ত করেন কোন রকম অসুবিধা হলে তিনি  পাশে আছেন।  অন্যদিকে পাড়ার লোকদের বক্তব্য তারা  ওই চালকের  বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। যদিও আতঙ্কের মধ্যে একমাত্র সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে দিন কাটছে জীবনবাবুর। তার পাল্টা প্রশ্ন এমন হলে এরপর আর কোনও চালক আশঙ্কাজনক রোগীদের বহন করতে রাজি হবেন কি!

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

RAJARSHI ROY 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অ্যাম্বুলেন্সে করোনা রোগীর মৃত্যু সন্দেহে, চালকের পরিবারকে কটুক্তি ও একঘরে করার অভিযোগ !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল