সোমবার রাতে কালনার মাধপুরে বাবা মা ভাইকে নিয়ে ব্যাগপত্র সহ হাজির হন সঞ্জীব। বোনকে তিনি জানান, কালনার একটি আশ্রমে বেড়াতে এসেছিলেন৷ আপাতত কয়েকদিন বোনের বাড়িতে থাকবেন বলেও জানান সঞ্জীব৷
আরও পড়ুন: খুনের পর না পালিয়ে কেন হোগলা বনে ছিল খুনি, উঠছে প্রশ্ন
কালনার এই বাড়িতে হানা দিয়ে পানিহাটি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপিকে। খুড়তুতো বোনের বাড়িতে বাবা, মা, ভাইকে নিয়ে গা ঢাকা দিতে এসেছিল বাপি। সোমবার রাতে হঠাৎ সপরিবারে সঞ্জীব পন্ডিত ওরফে বাপি ও তার ভাই প্রসেনজিৎ পণ্ডিত তাঁদের বাবা মাকে নিয়ে বোনের বাড়িতে হাজির হন।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিটে মিলল সূত্র, কাউন্সিলর অনুপম দত্তর হত্যাকাণ্ডে ধৃত আরও ১
দীর্ঘ দিন পর দাদারা বাড়িতে আসাই খুশিই হয়েছিলেন মাম্পিদেবী। তবে বোন টেরও পাননি কী ঘটনা ঘটিয়ে এসেছেন তাঁর দাদা! রাতে খাওয়া-দাওয়া পরের পরিবারের সঙ্গে গল্প-গুজব করে ঘুমাতে যান সবাই। রাত দুটোর সময় পুলিশ আসার পরেই সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায় সঞ্জীবের বোনের কাছে বোনের। আর এই ঘটনার পর থেকে কালনার আটঘড়িয়া অঞ্চলে সঞ্জীবের খুড়তুতো বোনের পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। পাড়া প্রতিবেশীরা তাঁদের অন্য চোখে দেখছেন। এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে উঠেছে। সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ।
পুলিশের প্রাথমিক দাবি, কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের সঙ্গে সঞ্জীব পণ্ডিত প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। সঞ্জীব পণ্ডিতে বোনের বক্তব্য, 'আমরা যদি জানতাম যে দাদা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাহলে কখনওই ওদের আশ্রয় দিতাম না।'