এই ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে কারখানার গেটে সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, কারখানায় কাজ করার জন্য তাঁদের ন্যূনতম যে সকল সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকা দরকার তার কোনও কিছুই নেই। এমনকি তাঁদের কোনও রকম পরিচয়পত্রও দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ কেঁপে গিয়েছিল পাকিস্তান! অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহৃত ‘মিসাইল’ এবার বাঁকুড়ায়
advertisement
রবিবার রাতে কাঁকসার বাঁশকোপায় বেসরকারি ইস্পাত কারখানায় কাজ করার সময় হঠাৎ ক্রেনের তার ছিঁড়ে যায়। উপর থেকে লোহার সরঞ্জাম ও লোহার তার ছিঁড়ে শ্রমিকদের উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সনিস কুমার যাদব। তাঁর মৃতদেহ সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
এরপর সোমবার সকাল থেকেই কারখানার ভেতর বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না কারখানা কর্তৃপক্ষ মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ও অন্যান্য শ্রমিকদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে কারখানায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুনঃ কোটি টাকার রাস্তা ধুয়েমুছে সাফ! জঙ্গলের পথই একমাত্র ভরসা, জোর বিপাকে কয়েক হাজার মানুষ
মৃতের সহকর্মী জীবন পাল ও জ্যোতিষ মন্ডল বলেন, রবিবার রাতের শিফটে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে ওই তিনজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তখনই কারখানার ভেতর ক্রেন থেকে ম্যাগনেট ছিঁড়ে পড়ে যায়। সনিসের মাথায় ম্যাগনেট পড়ে। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় সনিসের মাথা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আরও দুই শ্রমিক গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
সনিসের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক শ্রমিককে বিধাননগরের একটি বেসরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং আরেক এক শ্রমিককে শোভাপুরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য রাজেশ কোনার বলেন, খবর পেয়ে আমরা কারখানায় আসি। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন প্রতি মুহূর্তে শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করছে, করে যাবে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।