এই জেলায় বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ফল ভাল। যদিও লোকসভা ভোটে ফল ১-১...আবাস-সহ একাধিক ইস্যুতে এই জেলাতে নানা অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে জল্পনা। কিছুমাস আগেই মেদিনীপুর সফরে একজোট হয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ৩ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
তৃণমূলের দাবি, মেগা সভা করে চমক দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরেই এই জেলারই এক বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে বসে থাকার ছবিও ভাইরাল হয়েছে সেই বিধায়কের। যদিও তা মেনে নেয়নি বিজেপি শিবির ৷ সেই বিধায়ক নিজে অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর ছবি বিকৃত করা হয়েছে। এই অবস্থায় কেশপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় চমক থাকবে বলে উল্লেখ করছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷
আরও পড়ুন- বরাদ্দ ১০০০ কোটি, শেষ হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বাকি কাজ? বৌবাজার নিয়েই যত চিন্তা
তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, এ যাবৎকালের সব থেকে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ হবে এটি। লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা। জেলা জুড়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভা থেকে বিজেপির বেশ কয়েকজন রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব যোগ দেবে তৃণমূলে। জল্পনার মধ্যে রয়েছে খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নামও। কারণ, ইতিমধ্যেই হিরণ-সহ আরও একজন সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অজিত মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘বিধায়ক স্তরের অনেকেরই যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন এ বিষয়ে পরিষ্কার বলতে পারব না।’’
তৃণমূলের দাবি, জেলার দুই সাংগঠনিক জেলা, ঘাটাল ও মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকা হচ্ছে আনন্দপুর। তাই আনন্দপুর মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অনেকের আবার দাবি, কেশপুরে গত কয়েক মাস ধরে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত, যা বিরোধীদের হাত মজবুত করেছে ওই এলাকাতে। সেই সঙ্গে আনন্দপুর এলাকায় বিজেপির শক্তি বেশি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থল হিসেবে আনন্দপুরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।