উত্তপ্ত মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে এদিন একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঠাকুরকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, “উনি যে বাড়িতে থাকেন, সেখানকার জলের ব্যবস্থা মমতা করেছেন। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে চমকাচ্ছেন সেই রাস্তাও মমতার করে দেওয়া। চাইলে ভিড় ভেঙে মন্দিরে ঢুকতে ৫ মিনিট লাগবে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া-মাটিকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আমার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, আমি পুজো যেতে এসেছিলাম।”
advertisement
অভিষেকের কথায়, “ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিয়ে ভেবেছিলাম দিন শুরু করব৷ শান্তনু ঠাকুরের কথায় মন্দিরের গেটে তালা দিয়ে দিয়েছে, যাতে আমি প্রবেশ করতে না পারি৷ আমি এই বাংলার সন্তান, বাংলার ছেলে। ওদের ৩০০ সমর্থক ছিল, আমাদের ৩০০০ ছিল। সংখ্যার জেরেই ঢুকতে পারতাম। কিন্তু আমি ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও-এর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা আজ ঠাকুরবাড়িকে কলুষিত করেছে, কালি লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের যেন মতুয়া ভাইয়েরা ক্ষমা না করে৷”
আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি আর নয়’…! জেলায় জেলায় TMC ছেড়ে BJPতে যোগ! বিরাট চমক দিল ‘এই’ জেলা
বিজেপিকে তুমুল নিশানা করে অভিষেক আরও বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে৷ আমরা আছি মানুষের দরবারে। বিজেপি আছে হাইকোর্টের দরবারে৷ কী করে ভোট আটকানো যায়, সেই চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। বিজেপি বাংলায় গো-হারা হেরেছে তাই কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য টাকা তারা আমাদের দিচ্ছে না৷ মানুষের লড়াইয়ের স্বার্থে আগামী দিনে রাস্তায় নামব। আপনাদের রাস্তায় থাকতে হবে৷ পঞ্চায়েত ভোট হবে৷ আর তার এক মাসের মধ্যেই আমরা দিল্লি যাব।”
অভিষেক বলেন, “আজ ঠাকুরবাড়িতে পাগল, গোসাই, দলপতিদের ঢাল করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করল। যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকি দিল শান্তনু, সেই রাস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করে দিয়েছে৷ আমার জন্ম বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি৷ আমি গেলে নাকি ঠাকুরবাড়ি কলুষিত হবে৷ আর যার হাতে গোধরার রক্ত লেগে আছে, তাকে ঠাকুরবাড়িতে স্বাগত জানাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান জুতো পরে মন্দিরে ঢুকেছে। আমি ছবি ট্যুইট করেছি। শান্তনু ঠাকুর বলেছেন আজ নাকি আমার শেষ যাত্রা৷ উনি আমার মৃত্যু কামনা করছেন। আমি অবশ্য ওনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আপনি আরও ফুলে ফেঁপে উঠুন।”