সূত্রের খবর, আজ দুপুর দুটো নাগাদ তিনি আসানসোল গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে থেকে আসানসোল গির্জা মোড় পর্যন্ত এই রোড শো করবেন। অন্যদিকে, গত ৭ এপ্রিল তিনি বালিগঞ্জে রোড শো করেছেন। আজ প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে তাঁর এই রোড শো করার কথা। ইতিমধ্যেই আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মলয় ঘটক ও অনুব্রত মণ্ডল এই বিষয়ে দলের কর্মীদের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
শত্রুঘ্ন সিনহার মতো তারকা প্রার্থী নিজের মতো করে প্রতিদিন প্রচার চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা প্রচার সেরেছেন শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে। মূলত তাঁরা প্রচার করছেন ছোট ছোট মিছিল ও কর্মিসভা করে। একদিকে পরীক্ষা চলছে, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম। তাই মূলত বিকেলের দিকেই মিছিল বা রোড শো করে জনসংযোগ সেরে ফেলতে চাইছেন প্রার্থীরা।
তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন এই সব প্রচারে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা ভোটের তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কারিগর বলা হচ্ছে তাঁকে।একাধিক ইস্যুতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে ডেকে পাঠানোর পরে তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। গোটা অধ্যায়টিকে তিনি বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের প্রচারে নামা, তাও আবার ভোটের একেবারে প্রচারের শেষ অধ্যায়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শাসক দল।
আরও পড়ুন: রাজভবনে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা? ট্যুইটে যা জানালেন ধনখড়
আসানসোল লোকসভা আসন গত বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। যদিও এই লোকসভা আসন ছিল বিজেপির দখলে। এই আসনে প্রচারে জোর দিচ্ছে বাম ও বিজেপি উভয় পক্ষই। আসানসোলে ২০১৯- এর লোকসভা ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুনমুন সেন৷ এই লোকসভা কেন্দ্রের সব বিধানসভা আসনেই পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। যদিও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ৬ বিধানসভায় এগিয়ে যায় তৃণমূল। এমন কি, আসানসোল পুর নির্বাচনেও ভালো ফল করেছে তৃণমূল। এ ছাড়া এই লোকসভা আসনে রয়েছে হিন্দিভাষী ভোট। ফলে শত্রুঘ্ন সিনহাকে দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১৪ হোক বা ২০১৯-এর এই আসানসোলেই ভোট প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন 'মুঝে বাবুল চাহিয়ে।' আর সেই বাবুল এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনেই হচ্ছে উপনির্বাচন। বাম-কংগ্রেস-বিজেপি একযোগে বলছে আসানসোল ঘরের ছেলে-মেয়েকেই চায়৷ আর সেখানে শত্রুঘ্ন সিনহা বলছেন, ভোট হচ্ছে ব্যক্তির নামে নয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে।