সোমবার সেই নবদম্পতিকেই অভিনন্দন জানালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার পাশাপাশি ফোনেও দুই তরুণী এবং কুলতলির জালাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানান তিনি৷ সমাজ কী বলবে সেকথা না ভেবে সাহসী এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রিয়া এবং রাখিকে অভিনন্দন জানান তিনি৷ নবদম্পতির পাশে থাকার জন্য গ্রামবাসীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন অভিষেক৷
advertisement
এ দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগেই জালাবেড়িয়া গ্রামে নবদম্পতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই ফোনে নবদম্পতি এবং গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বার্তা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷
সমাজমাধ্যমে অভিষেক লেখেন, ‘সামাজিক বেড়াজাল ছিন্ন করে সুন্দরবনের দুই তরুণী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যা বাংলা তথা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ উদাহরণ – স্বাধীন ভারতের স্বাধীন মানসিকতার, মানবিকতার, মুক্ত চিন্তা ভাবনার ও সাহসিকতার। সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে তাঁরা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বাংলার কাছে ও বাঙালির কাছে গর্বের।সংকীর্ণতার গণ্ডি পেরিয়ে সামাজিক মতভেদ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক বাধা এসব অতিক্রম ক’রে লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন – প্রকৃত ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়েই। তাঁদের এই পবিত্র ভালোবাসা চিরঅক্ষয় থাকুক।’
গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে অভিষেক ফোনে বলেন, ‘সমাজের পুরনো চিন্তাভাবনার গণ্ডি ভেঙে রিয়া এবং রাখির পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ আপনারা প্রমাণ করেছেন সুন্দরবনের মানুষ শুধু প্রকৃতির সন্তান নয়, তাঁরা মনের দিক থেকেও সুন্দর৷’
ফোনে অভিষেক জানান, খুব শিগগিরই তিনি কুলতলির জালাবেড়িয়া গ্রামে যাবেন৷ সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের কী কী প্রয়োজন তা জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তণমূল সাংসদ৷
সহ প্রতিবেদন- অর্পণ মণ্ডল
