এদিন অভিষেক বলেন, “আজ ২৬ দিন। অনেকে ভেবেছিল পারব না৷ ইডি, সিবিআই লাগাতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে। যা লোক হচ্ছিল তার তিনগুণ হচ্ছে। বাঁকুড়ার এই গরমে মানুষ বেরিয়ে আসছেন। আমি তিনদিন স্থগিত করেছিলাম। আজ সেখানেই অধিবেশন করছি। এই জেলার সংগঠন আমাদের তুলনামূলক ভাবে দুর্বল।”
আরও পড়ুন: হঠাৎ কাদের ‘সন্ধানে’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়…? দল নিয়ে ফের বিস্ফোরক! মন্তব্যে তুমুল শোরগোল
advertisement
এখানেই শেষ নয় নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, “কেউ ভাবেনি ১০ বছর আগে মোদি প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ ১০ বছর পরে কি হবে কেউ জানে? ইডি, সিবিআই লাগাক আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না। আমার বয়স ৩৬, ওনার বয়স ৭২৷ আমার ডাবল বয়স। ইডি, সিবিআই লাগিয়ে লড়াই না করে, জনতার মাঝে এসে লড়াই করুন৷ ইডি, সিবিআই লাগিয়ে বাংলার টাকা বন্ধ করে কী হবে?”
আরও পড়ুন: মদনের সুরে শতাব্দী…? বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ! যা বললেন রামপুরহাটে তোলপাড়
বিজেপিকে তুমুল কটাক্ষ শানিয়ে অভিষেকের আক্রমণ, “সোনামুখীতে দাঁড়িয়ে বলে গিয়েছিলাম, ক্ষমতা থাকলে সিবিআই গ্রেফতার করুক৷ বুক চিতিয়ে ঢুকেছি, বুক চিতিয়ে বেরিয়েছি। আগামীদিন যত ইডি, সিবিআই লাগবে, তত আন্দোলন বাড়বে। ৯ ঘন্টা পর বেরিয়ে আসায় ওরা ফুস। যা ক্ষমতা প্রয়োগ করার করুন। আমাদের কি ‘গদ্দার’ ভাবছেন? মেরুদণ্ড সোজা রেখে কথা বলি। গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরোবে৷” আগাগোড়াই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণাত্মক ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ায় তাঁর জনসংযোগ কর্মসূচি চলাকালীন শুক্রবারই ইডির সমন পান তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় কলকাতায় তাঁর বাড়িতে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। পরদিন, শনিবারই কলকাতায় নিজাম প্যালেস হাজিরা দিতে বলা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। সেদিনই নবজোয়ার থামিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক। নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দেন সিবিআই দফতরে। টানা ৯ ঘন্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ।