শতাব্দী প্রাচীন চন্দননগরের গাছ যারা শহরের ফরাসি আমল থেকে বর্তমান প্রজন্মকে আজও দেখে এসেছে তাদের জন্য এই অভিনব পরিচয় পত্র তৈরি কাজ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছরের শুরুতেই দেখতে পাওয়া যাবে গাছের আধার কার্ড।
advertisement
চন্দননগর শহরের প্রত্যেকটি গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয় পত্র। ইতিমধ্যেই গাছের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য নথিভুক্তকরণ ও প্রতি গাছের জন্য আলাদা আলাদা কিউআর কোড তৈরি করা হচ্ছে। গাছের পরিচয় পত্র থেকে যে কোনও মানুষ ফোনের স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। চন্দননগর স্ট্র্যান্ড ও চন্দননগর গির্জা-সহ একাধিক জায়গায় গাছের গায়ে নম্বর বসানো হয়ে গিয়েছে। তারা কোন প্রজাতির গাছ, কী তাদের পরিচয় সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া যাবে পরিচয় পত্র স্ক্যান করে।
আরও পড়ুন: ভারতের থেকে মুখ ফেরাল বাংলাদেশ! পাকিস্তানের থেকে কোটি টাকা দিয়ে কিনছে বিশেষ জিনিস
এই বিষয়ে বায়ো ডাইভারসিটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সম্পাদক সোমনাথ চট্টোপাধায় এই বিষয়ে জানান, চন্দননগর মহাবিদ্যালয় কলেজের বোটানি বিভাগে প্রতিটি গাছ আলাদা আলাদা করে শনাক্তকরণ করে কাজ সম্পন্ন করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে একটি ইউআর কোড। কিউইউআর স্ক্যান করতে হবে। প্রাথমিক ভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগো এলাকায় ১৫০ থেকে ২০০টি গাছকে এই কিউআর কোড দেওয়া হবে। যাতে মানুষ খুব সহজেই জানতে পারেন তার নিকট প্রতিবেশী গাছ সম্পর্কে।