কচুয়া ধামের খুব কাছেই রয়েছে এক অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন—হেরিটেজ নগরী ধান্যকুড়িয়া। ব্রিটিশ আমলে পাটের ব্যবসায় সমৃদ্ধ গাইন শাহ ও বল্লভ জমিদার পরিবারের বাসভূমি ছিল এই অঞ্চল। সেই সময়ের প্রাসাদসম ব্রিটিশ ধাঁচের বাড়ি, বাগানবাড়ি ও মনোমুগ্ধকর স্থাপত্য আজও ভ্রমণপিপাসুদের নজর কাড়ে। ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলী ও বাংলার জমিদারি ঐতিহ্যের এই মেলবন্ধন যেন অতীতকে জীবন্ত করে তোলে।
advertisement
তবে এতদিন ধান্যকুড়িয়ায় পর্যটকদের থাকার ও খাওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না। এবার সেই অভাব পূরণ হয়েছে—এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আধুনিক হোটেল ও অতিথিশালা। এখানে পর্যটকরা পাবেন থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা, যা কচুয়া ধাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে। জন্মাষ্টমীর পুণ্যস্নান, আধ্যাত্মিক পরিবেশ ও পাশের ধান্যকুড়িয়ার ঐতিহাসিক সৌন্দর্য—দুটো মিলিয়ে এই অঞ্চল এখন হয়ে উঠেছে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী পর্যটনের এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।