এই প্রসঙ্গে রেজাউল শেখ জানান ,”এই হেলিকপ্টার বানানোর কাজ শুরু করেছি প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেছে। আমার নিজস্ব কোনও চিন্তা ভাবনা নেই আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। বাবা আমাকে বলেছিলেন আমি বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছি । আমার বাবার ইচ্ছা ছিল এমন একটা কিছু করতে যে সারা দেশের লোক জানবে, চিনবে । আর এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই হেলিকপ্টার বানানো শুরু করেছি তিন বছর হয়ে গেল।”এখনও পর্যন্ত হেলিকপ্টার তৈরি করতে তাঁর লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন। টাকা জোগাড় করতে বন্ধক রেখেছেন নিজের শখের চারচাকা গাড়ি এবং মোটরসাইকেল এমনকি তিন বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছে।
advertisement
অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং দীর্ঘ তিন বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রেজাউল শেখ এই হেলিকপ্টার তৈরি করেছেন।প্রায় ১ বছর আগে তাঁর বড় মেয়েকে একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয়।তারপর বেশ কয়েক মাস হেলিকপ্টার তৈরির কাজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি।
আবার রেজাউল নতুন করে হেলিকপ্টার তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন। হেলিপ্টারে লাগানো হাতে তৈরি ব্লেড পাল্টে তিনি নতুন ব্লেড লাগাবেন বলে ঠিক করেন। ইতিমধ্যেই সেই ব্লেডও চলে এসেছে তাঁর বাড়িতে। । তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর এই কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই রেজাউল শেখ তাঁর নিজের তৈরি হেলিকপ্টার আকাশে ওড়াবেন।
তিনি এই হেলিকপ্টার অন্য কারও হাতে না ছেড়ে , নিজেই পাইলট হিসেবে বসবেন বলেও জানিয়েছেন। বর্তমানে বহু মানুষের মধ্যে কৌতূহল শুরু হয়েছে, যে কবে উড়বে এই হেলিকপ্টার। এখন দেখার বিষয় এই কাজের শেষ পরিণতি কী হয় এবং কতটা সফল হয় রেজাউলের এই চেষ্টা ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী