আরও পড়ুনঃ গরমে পেট ছাড়ছে বারবার? ছুটতে হবে না ডাক্তারের কাছে! আপনার রান্নাঘরের কৌটোয় আছে অবর্থ্য ওষুধ
পড়াশুনা শেষে চাকরি না পেয়ে গ্রামীণ চিকিৎসকের কাজ শুরু করেছিলেন প্রীতিরঞ্জন। বাবাও ছিলেন এই পেশায়। এসকোকে নিয়েই মেতে ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই গত মাসে পোষ্যটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন। প্রীতিরঞ্জনদের পাড়ার এক যুবক এসকোকে দেখতে পায় ট্যাংরাখালি এলাকার একটি বাড়িতে। পাশেই মেলা দেখতে গিয়ে পোষ্যটিকে দেখতে পেয়েছিল সে। ‘এসকো’ বলে ডাকতেই কুকুরটি ঐ যুবকের কাছে চলে আসে। তখন তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয়না যে কুকুরটি প্রীতিরঞ্জনের। তখনই তাঁকে ফোনে খবর দেন ঐ যুবক। ‘এসকো’র খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে চলে যান প্রীতিরঞ্জন। নিজেও সারমেয়র নাম ধরে ডাকতে তাঁর কাছে ছুট্টে চলে আসে পোষ্যটি। এরপর বাড়ির মালিককে বারবার ডাকাডাকি করেন প্রীতিরঞ্জন। কিন্তু কেউই সারা দেন নি। তবে, স্থানীয় এক মহিলা কুকুরটিকে নিজের বলে দাবি করলেও যুক্তিতে প্রীতিরঞ্জনের কাছে পেরে ওঠেননি।
advertisement
প্রীতি তাঁদেরকে প্রমাণ নিয়ে থানায় আসতে বলে নিজে থানায় চলে আসেন। পুরো ঘটনার কথা জানান পুলিশকর্মীদের। থানা থেকেও সরিয়তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কুকুর নিয়ে কোন ঝামেলায় জড়াতে চান না। রাস্তায় পেয়ে তিনি নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন বলে জানান সরিয়ত। পুলিশ জানিয়েছে ঐ সারমেয়কে নিজের দাবি করে আর কেউই থানায় আসেননি। তদন্তে জানা গিয়েছে কুকুরটি প্রীতিরঞ্জনেরই। তাই তাঁর হেফাজতেই দেওয়া হয়েছে সেটিকে।
সুমন সাহা