মা ভবতারিণীর কাছেই ভক্তরা একদম শাস্ত্রমতে পুজো দিতে পারবেন। অপরদিকে শ্মশানকালী মন্দিরে পুজো হবে তন্ত্রমতে। তাছাড়াও এই মহাশ্মশানে রয়েছেন একাধিক দেবদেবী। মা ভবতারিণীর ডান পাশে রয়েছেন শিব এবং বাম পাশে রয়েছেন বজরংবলী। শ্মশানের মাঝখানে অধিষ্ঠান করছেন মা তারা। তাছাড়া রয়েছেন শ্মশানকালী এবং সাধক বামাক্ষ্যাপা। প্রায় ৩০০-৩৫০ বছরের পুরনো কালীক্ষেত্র এটি।
advertisement
বাঁকুড়া শহরের তথা জেলার অন্যতম বড় কালী ক্ষেত্র লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান। কৌশিকী অমাবস্যা থেকে শুরু করে কালীপুজো, এক অন্যরকম রূপ ধারণ করে এই মহাশ্মশান। আপনি যদি ঘুরে দেখতে চান তাহলে কলকাতা থেকে বাঁকুড়া চলে আসুন ট্রেন কিংবা বাস ধরে। মাত্র ৩ ঘণ্টার দূরত্ব। বাসে এলে সতীঘাট ব্রিজের কাছে নেমে, পায়ে হেঁটে ৫ মিনিটের পথ। পৌঁছে যাবেন লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে। আবার ট্রেনে এলে, বাঁকুড়া স্টেশনে নেমে টোটো ধরে মাত্র ১৫-২০ টাকার বিনিময়ে চলে আসুন মহাশ্মশান।
মা ভবতারিণী, শ্মশানকালী, মা তারা এবং বামদেবের মন্দির রয়েছে এই জায়গায়। আপনার শক্তি আরাধনার একটি অনন্য পীঠস্থান হতে পারে বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান। বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানের সেক্রেটারি অভিজিৎ দত্ত বলেন, “শাস্ত্রমতে এবং তন্ত্রমতে পূজিত হন মা কালী। এই দৃষ্টান্ত বিরল পশ্চিমবঙ্গে।”