নিঃসন্তান দম্পতির ঘর যেমন ভরে উঠেছে এই সবুজে, তেমনই এলাকার মানুষের কাছেও তারা হয়ে উঠেছেন গাছ প্রেমের উদাহরণ। ব্যবসায়ী সুভাষ মনি ও প্রাক্তন শিক্ষিকা কৃষ্ণা দেবীর এই বাগানে রয়েছে থাইল্যান্ড ভিয়েতনামের নানা প্রজাতির ফলের গাছ। রয়েছে মৌসুমী, আম, ড্রাগন ফল, কুল, জামরুল, আপেল, আঙুর-সহ আরও বহু ফল। সঙ্গে অর্কিড, গোলাপ, জবা-সহ বহু রঙিন ফুলও সেজে উঠেছে ছাদজুড়ে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে বড়ো গাছ সাধারণত মাটিতে ছাড়া বেড়ে ওঠে, সেই গাছও সুভাষ বাবুর দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছে টবে। প্রায় ১২০০ স্কোয়ার ফুট ছাদে তৈরি হয়েছে এমন এক পরিবেশ, যা ছোটখাট পার্ককেও হার মানায়। প্রতিদিনই পাড়া প্রতিবেশী ও পরিচিতরা এই বাগান দেখতে আসেন। কেউ উপভোগ করেন পরিবেশের শান্তি, কেউবা তুলে নেন টাটকা ফল।
advertisement
৭০ বছর বয়সেও নিজ হাতে প্রতিটি গাছকে পরিচর্যা করেন সুভাষ মনি। বলেন ‘কোনও রাসায়নিক সার বা ওষুধ ব্যবহার করি না। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে গাছগুলিকে বড় করি।’ কিশোর বয়স থেকেই গাছ লাগানোর নেশা ছিল তাঁর। সেই শখ থেকেই গ্রামের ধরমপুরে তৈরি করেছিলেন আমবাগান ও নারকেল বাগান। কাজের সূত্রে দাসপুরে আসার পর সেই শখ আরও বড়ো রূপ নেয় এই ছাদবাগানে।
নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত ফল বিলিয়ে দেন আশপাশের মানুষকে। আর এই বাগান দেখে বহু মানুষই অনুপ্রাণিত হয়ে ঘরে গাছ লাগাতে শুরু করেছেন। আজ যখন নগরায়ণে একের পর এক গাছ হারিয়ে যাচ্ছে তখন মনি দম্পতির এই সবুজ ভালবাসা সমাজকে দিচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা গাছই জীবনের আশা, প্রকৃতি প্রেমই ভবিষ্যৎ রক্ষা।





