মণ্ডপে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে হাসপাতালের পরিবেশ, যেখানে রোগীরা নিজেদের মতো করে দিন কাটাচ্ছে। কেউ একা বসে আছে, কেউবা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে; কারও মুখে অসহায়তার ছাপ, আবার কারও চোখে হারিয়ে ফেলা স্বপ্নের ব্যথা। আলোর ব্যবহার, সাদা দেওয়াল, বিছানা আর নানা প্রতীকী শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা তুলে ধরেছেন মানসিক হাসপাতালের ভেতরের আবহ।
advertisement
পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি, এই থিমের মাধ্যমে সমাজে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য—“মানসিক রোগীরা সমাজের বোঝা নন, তারাও আমাদেরই মতো মানুষ, তাদের ভালোবাসা ও যত্নের প্রয়োজন।” এই ভিন্নধর্মী থিম দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছে এলাকাবাসী। কেউ বিস্মিত, কেউ আবেগাপ্লুত। এক দর্শনার্থীর কথায়, “দুর্গাপুজোর মণ্ডপে এমন বার্তাবহ থিম সচেতনতা বাড়াতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।”
বসিরহাটের এই পুজো শুধু শৈল্পিক দিক থেকেই নয়, মানবিকতার দিক থেকেও প্রশংসিত হচ্ছে। সমাজে মানসিক রোগীদের প্রতি যে অবহেলা, সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেই শিল্পীরা তুলে ধরেছেন এমন এক বাস্তব ছবি। ফলে দুর্গোৎসবের আনন্দের মাঝেও মানুষের মনে ছুঁয়ে যাচ্ছে সহমর্মিতা ও সচেতনতার সুর।