জখম হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল বানরটি। স্থানীয় কিছু লোকজনের নজরে পড়ে জখম অবস্থায় ওই হনুমানটি পড়ে রয়েছে। তারপরে খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে বানরটিকে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে পশু পালন দফতরে চিকিৎসার জন্য। আপাতত পশু হাসপাতালই তার ঠিকানা।
স্থানীয়রা প্রথমে হনুমানটি জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে তারা বুঝতে পারেন নি বানরটির ঠিক কী হয়েছে। তারপর দেখতে পান হনুমানটির একটি পায়ে গভীর চোট রয়েছে। তখনই বানরটিকে উদ্ধারের জন্য বনদফতরের কাছে খবর দেওয়া হয়। তারপর লাউদোহা বিভাগের বনদফতরের কর্মীরা এসে বানরটিকে উদ্ধার করেন। বানরটিকে উদ্ধার করার পর দুর্গাপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বনদফতরের কর্মীরা বানরটিকে খাঁচা বন্দী করে দুর্গাপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।আপাতত সেখানেই ওই জখম বানরটি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - বন্ধ হক সিএবি-র অনুর্ধ্ব ১৯ এবং অনুর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেট লিগ, কোথায় উঠল দাবি
এই বিষয়ে বন বিভাগের এক কর্মী মহাদেব মাঝি জানিয়েছেন, বানরটি গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। হনুমানটির একটি পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। পা টি গুরুতরভাবে ভেঙে গিয়েছে। তাই বানরটিকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকবে বানরটি। চিকিৎসার পর হনুমানটিকে বনদফতরের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। তারপর হনুমানটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলে, তাকে ওই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় স্থানীয় পশুপ্রেমীরা বনদফতরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, যদি প্রতিটি প্রাণীর ক্ষেত্রে মানুষ এইভাবে পাশে দাঁড়ায়, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। অবলা জীব জন্তুদের সঙ্গে মানুষের একটি অদৃশ্য সম্পর্ক তৈরি হবে। যা সমাজের কাছে মানবিকতার নজির তৈরি করবে।
Nayan Ghosh