এই পিকনিকের মরশুমে নির্ভেজাল প্রকৃতির খোলা আকাশের নিচে সময় কাটানো মুহূর্তটা বেশি পছন্দের মানুষের। সেই দিক থেকে মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে সবুজ মাঠ নদী চর এর মত স্থান।
গ্রামাঞ্চলের এই সমস্ত স্থানে ক্রমেই মানুষের ভিড় বাড়ছে। একদিকে পিকনিকের প্রবণতা বাড়ছে অন্যদিকে দূষণের মাত্রাও অতিরিক্ত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। সবুজ মাঠ কিংবা নদী পার, কমবেশি প্রায় সর্বত্রই পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা।
advertisement
তাতে চিন্তা বেড়েছে পরিবেশকর্মীদের৷ কীভাবে এই দূষণ রোধ করা সম্ভব। সচেতনতার প্রচারে মাইকিং তো রয়েছেই। পিকনিকের বিশেষ দিনগুলিতে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণকারী থালা গ্লাস বাটির পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব সামগ্রি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় যুবক যুবতীরা।
হাওড়া জেলার উত্তর পশ্চিমে উদয়নারায়নপুর ব্লক। উদয়নারায়নপুর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী বর্ষায় ভয়ানক রূপ ধারণ করে। কিন্তু এই নদীই শীতের সময় মানুষকে দারুন ভাবে আকৃষ্ট করে।
নভেম্বর থেকে একটানা কয়েক মাস নদীর পাড়ে পিকনিকের ভিড় জমে। ছুটির দিনগুলিতে রীতিমত মেলায় পরিণত হয় এখানে। তাতেই ছড়াচ্ছে দূষণ, পিকনিক শেষে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে নানারকম পরিবেশের ক্ষতিকারক জিনিস।
তার মধ্যে বেশি সমস্যার কারণ হয়ে যাচ্ছে থার্মোকল ও প্লাস্টিকের গ্লাস বাটি। উদয়নারায়নপুরের বিভিন্ন এলাকায় পিকনিক করতে আসা মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব থালা গ্লাস বাটি প্রদান করা হচ্ছে ‘তরুণউদয়’ ও ‘ হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ ‘ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এ প্রসঙ্গে উদয়নারায়নপুর তরুণ উদয় ফাউন্ডেশনের সম্পাদক রনজিৎ দেড়ে জানান, উদয়নারায়নপুরের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে উদয়নারায়নপুর থেকে বক্তা ব্রিজ পর্যন্ত স্থানে হাজার হাজার মানুষ আসে পিকনিক করতে।
পরিবেশ দূষণ রুখতে মানুষকে সচেতনতাভাবে পাশাপাশি দূষণ রুখতে মানুষকে বিনামূল্যে থালা গ্লাস বাটি দেওয়া হচ্ছে। দারুন ভাবে সাড়া মিলেছে।
রাকেশ মাইতি





