পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। জমিতে দু-ফসলি ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন বহু মানুষ। কিন্তু বর্তমানে সার ওষুধের অগ্নিমূল্যের বাজারে নাভিবিশ্বাস উঠছে সকলের। কিন্তু জানেন কি সামান্য একটি ঘাসের চাষ করলে, চাষের কাজে প্রায় ৩০% এরও বেশি সার বা ওষুধের প্রয়োগ কমে যাবে? মাটিতে বাড়বে উর্বর ক্ষমতা। যার ফলে প্রতি মরশুমে বেশ ভাল ফসল মিলবে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এক কৃষক মিলন কুমার ওঝা সামান্য কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে চাষ করেছেন ধুনচা গাছ বা ধুনচা ঘাস। প্রসঙ্গত, এই ধুনচা ঘাস চাষ করতে গেলে প্রয়োজন নেই লাঙল করা, সার-ওষুধ প্রয়োগের। প্রকৃতির নিয়মে বেড়ে উঠবে এই গাছ। আবার এক ফসল চাষের পর অন্য ফসল চাষের আগে তা ফেরত লাঙল করে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া যাবে। এর ফলে মাটিতে সবুজ সারের পাশাপাশি বাড়বে উর্বরতা শক্তি। মাটিতে বাড়বে অক্সিজেনের পরিমাণ। স্বাভাবিকভাবে মরশুমে চাষের ক্ষেত্রে সার, ওষুধের প্রয়োগ কমবে।
শুধু তিনি নয়, দুই ফসল চাষের মাছের সময়ে এই ধুনচা চাষের চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন মিলন বাবু। পরিবেশের পাশাপাশি মাটির উর্বরতা ক্ষমতা বাড়বে এবং চাষেও খরচ কমবে বলে মনে করছেন তিনি।
রঞ্জন চন্দ