পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার অন্তর্গত বামুনারার বাসিন্দা সন্তোষ কবিরাজ। নিজের প্রায় আড়াই বিঘা ধান জমিতে ধান চাষ না করে সেই জমিতে জল জমিয়ে দেশি কই, মাগুর মাছের চাষ করছেন। শুধু ধান জমিতে পুকুরের মতো মাছ চাষই নয়, জল ঠান্ডা রাখতে তিনি ব্যবহার করছেন পুকুরের মতো প্রাকৃতিক পদ্ধতি। জলের তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য জলের উপর কচুরিপানা দিয়ে জল ঠান্ডা রাখার পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তিনি। এই কচুরিপানা একদিকে যেমন পুকুরের জল ঠান্ডা রাখবে, ঠিক তেমনই পরবর্তীতে এগুলিকে মাছের খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কম দামে রকমারি শাড়ি! পুজোর আগে ‘এই’ হাটে উপচে পড়ছে ভিড়! কেনাকাটা করতে যাবেন নাকি?
সন্তোষবাবু জানান, বাজার থেকে মাছের চারা কিনে এনে নয়, তিনি নিজেই মাছের ডিম ফুটিয়ে চারা করে চাষ করেন। প্রথমে একটি ছোট জায়গায় মাছের ডিম ফুটিয়ে নেন। পরবর্তীতে মাছগুলি একটু বড় হলে সেগুলি ওই জমিতে ছাড়েন।শ্রমিকের অভাব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বার বার ফসল নষ্ট হয়। এতে যে টাকা খরচ হয়, সেই টাকা উঠছে না। তাই বাধ্য হয়েই এই ভাবনা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক বছর আগে আড়াই বিঘা জমিতে এই চাষ শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু জমিতে এই চাষ করবেন। ইতিমধ্যেই অল্প কিছু মাছ বিক্রি করেছেন। মূলত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এই মাছগুলি বিক্রি করবেন তিনি। এতে ভালই লাভ হবে বলে আশাবাদী সন্তোষবাবু। প্রতিকূলতার মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর এই উদ্ভাবনী পদক্ষেপ শুধু নিজের জীবিকা নয়, বরং অন্যান্য চাষিদের সামনেও এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।