পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এলে পশ্চিম দিকে একটু উপরের দিকে তাকালেই নজরে আসবে ছাদের উপর বিভিন্ন ধরণের গাছ। বড় বড় গাছ যেগুলি মাটির উপরেই বেড়ে ওঠে, টবে লাগানো প্রায় অসম্ভব সেইরকম ফলের গাছও এই ছাদ বাগানে স্থান পেয়েছে। ছাদের উপর টবের মাটিতেই সেইসব গাছ বেড়ে উঠেছে। তাতে আবার ফল, ফুলও ধরেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘রোডসাইড রোমিও’দের বাড়বাড়ন্ত শেষ! চালু হল অ্যান্টি ইভটিজিং ড্রাইভ, গ্রেফতার ১৮
পরিবারে মাত্র দুইজন, স্বামী এবং স্ত্রী। স্বামী সুভাষ মনি ও স্ত্রী কৃষ্ণা মনি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন দাসপুর এলাকায়। সুভাষবাবুর ছোট থেকে গাছের নেশা ছিল। তাই গৃহস্থ বাড়ির ছাদের উপর বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একটি ফল ও ফুলের বাগান।
থাইল্যান্ডের সমস্ত প্রজাতির গাছ রয়েছে এই ‘রুফ টপ বাগানে’ । ১২ বছর ধরে ছাদ বাগানে ফল ধরছে। এই বাগানে রয়েছে মৌসম্বি, আম, জামরুল, কুল, আপেল সহ একাধিক ফল। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক ফুলের গাছ। বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুল গাছে ভরে উঠছে ছাদ। সেজে উঠেছে মনি পরিবারের এই ছাদ বাগান।
আরও পড়ুনঃ লোহার রড দিয়ে এটিএম ভেঙে লুঠের ছক! পুলিশ আসতেই যা হল…! খড়িবাড়িতে শোরগোল
গাছপ্রেমী সুভাষবাবু ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী এই বাগানটি তৈরি করেছেন। ছোটবেলা থেকেই সুভাষবাবুর গাছের প্রতি অনুরাগ ছিল। তাই নিজের বাড়ির ছাদে একটি ফল ও ফুলের বাগান তৈরি করেছেন তিনি। মনি পরিবারের ছাদ বাগানে মাঝেমধ্যেই পাড়া-প্রতিবেশীরা ভিড় জমান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ছাদ বাগানের সৌন্দর্য পার্ককেও টেক্কা দেবে। ছাদে উঠলেই প্রশান্তিতে ভরে ওঠে মন। তাই অনেকেই ছাদ বাগান উপভোগ করে তাজা হয়ে বাড়ি ফেরেন। আজকালকার দিনে যখন গাছ কেটে নগরায়ন হচ্ছে, তখন গাছেদের প্রতি এমন প্রেম সমাজকে এক গভীর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।