একরত্তি শিশুকে চোর সন্দেহে নারকেল দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে এমন ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই আঁতকে ওঠেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। খবর পৌঁছে যায় পুলিশেও। অবশেষে পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার জেরে স্বতঃপ্রোণোদিত মামলা রুজু করে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মধুমিতা মল্লিক।
advertisement
আরও পডুন: ঝাড়খণ্ড ঘুষ-কাণ্ডে নয়া মোড়, এবার খোদ অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই
সমাজ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছিল, শিশুটিকে নারকেল দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে একটি বাড়ির সিঁড়ির নীচে ফেলে রাখা হয়েছে। তারপর এক মহিলা কখনও চুলের মুঠি ধরে আবার কখনও বা গালে চড় মেরে মারধর করছেন তাকে। অত্যাচার সহ্য করেই শিশুটি কেঁদে কেঁদে বলে যাচ্ছে, 'আমি কিছু জানি না'। কিন্তু সে কথায় কানই দিচ্ছেন না ওই মহিলা।
নরম গালে একের পর এক চড় কষিয়ে মহিলাকে বলতে শোনা যায়, 'আবার মিথ্যা কথা। কান্না না থামালে আরও মার খাবি'। পাশে দাঁড়ানো আরও কয়েকজন মহিলাকেও বলতে শোনা যায়, 'এরা সবাই সব শিখে আসে। পুলিশের কাছে দিলে, ছেড়ে দেবে।" এরপরেই মহিলা বলেন, "কে পাঠাতে বলে বলবি, তা না হলে আবার মারব। সবাই ভাল করে মুখটা দেখে রাখ। দরজা খুলে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির সঙ্গে কয়েকজন কিশোরও ছিল। তাড়া খেয়ে বড়রা পালিয়ে গেলেও একরত্তি শিশুটি আটকে পরে। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসে। তারপর শিশুটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চুরির অভিযোগে ছোট্ট শিশুর উপরে নির্মম অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অপরাধীকে প্রশাসনের হাতে তুলে না দিয়ে এভাবে অত্যাচার চালানোর ঘটনায় নিন্দা করেছেন অনেকেই।