জানা যাচ্ছে, ছোট থেকেই খেলাধুলার পরিবেশে বড় হয়েছে তৃষাণ। কয়েক বছর আগে তৃষাণের মা পুরুলিয়ার হয়ে রাজ্যস্তরে কবাডি খেলেছেন। বাড়িতে প্র্যাকটিসও করতেন তিনি। তৃষাণ সেই সময় অনেক ছোট। বয়স মেরেকেটে ৮-৯ বছর।
আরও পড়ুনঃ ছুরি-কাঁচি ছেড়ে কোদাল তুলে নিলেন ডাক্তার! সদর হাসপাতালে হলটা কী?
তখন থেকেই গুটি গুটি পায়ে মায়ের কবাডি প্র্যাকটিস দেখত তৃষাণ। এই খুদের মা-ও নিজের খেলায় অজস্র সার্টিফিকেট, পদক পেয়েছেন। সেসব দেখেই তৃষাণের মধ্যে খেলাধুলার বিষয়ে আগ্রহ জন্মায়। আস্তে আস্তে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে সে। বর্তমানে এই খেলাতেই আসছে সাফল্য।
advertisement
তৃষাণের বাবা মিলন মাজি একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই ছেলে কাশীনাথ লাহিড়ী পাবলিক স্কুলের পড়ুয়া। ছোট থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেওয়ার। সেই ভাবনা থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় ক্যারাটে প্রশিক্ষক সিঙ্কু ব্যানার্জীর কাছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে সে।
আরও পড়ুনঃ দোকান থেকে কেনা নয়! এলাকার মেয়েরাই এবার বানাচ্ছেন…! সোনারপুরে বড় উদ্যোগ
ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন এই খুদে। কিছুদিন আগে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তৃষাণ। সেখানে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান সহ বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সেই প্রতিযোগিতায় সবাইকে টেক্কা দিয়ে কাতা ইভেন্ট ও ফাইট ইভেন্টে রূপো জেতেন তৃষাণ। ছেলের এই সাফল্যে তৃষাণের মা পম্পা মাজি বলেন, ‘আমার ছেলে ভারতের হয়ে খেলতে গিয়েছিল এটা আমার খুব ভাল লেগেছে, গর্ব হচ্ছে। সবসময় ওঁর সঙ্গে পরিবারের সহযোগিতা রয়েছে। আগামীদিনে যাতে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছায় সেই সহযোগিতা সর্বদা থাকবে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা যাচ্ছে, স্কুল থেকে ফিরে টিউশন পড়তে যায় তৃষাণ। এরপর বিকেলের দিকে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে যায় সে। এভাবেই আস্তে আস্তে পটু হয়েছে উঠছে ১৪ বছরের এই শিশু। তৃষাণের এই সাফল্যে তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, ক্যারাটে প্রশিক্ষক সিঙ্কু ব্যানার্জি সহ এলাকাবাসী ভীষণ খুশি। সকলের একটাই কামনা, এভাবেই এগিয়ে যাক এই প্রতিভাবান খুদে।





