আরও পড়ুন: বাঁশ কাটার এক অদ্ভুত মেশিন তৈরি করলেন ইঞ্জিনিয়ার ম্যান, দেখুন
মনসা পূজোর বিসর্জন উপলক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে বছরের পর বছর। নদী মাতৃক দেশ হওয়ার সুন্দরবন এলাকার মানুষ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই নৌকা বাইচ অনুষ্টানে অংশ নেয়। কথিত আছে মনসা মঙ্গল কাব্যে বেহুলা লখিন্দরের ভেলা ভাসনোর ঘটনাকে স্মরণ করে এই নৌকা বাইচের শুরু। বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ন্যাজাটের বিদ্যাধরী নদীর নৌকা বাইচ উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
advertisement
বিশেষ করে সুন্দরবন লাগোয়া যেসব মাঝি-মোল্লা-মৎস্যজীবীরা যাঁরা নদীতে মাছ ধরতে যান এবং মাছ ধরার মধ্য দিয়েই তাঁদের জীবিকা চলে, তাঁরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বলে জানান উদ্যোক্তা বিকাশ মন্ডল। সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের জীবিকা বলতে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করা। তাই সারাবছরই নদীতে নৌকা চালিয়ে সংসার দৈনন্দিন জীবন এর ওপরে নির্ভরশীল হতে হয়। নৌকা বাইচের মত প্রতিযোগিতাকে তারা বিনোদন হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন।
জুলফিকার মোল্যা