বৃদ্ধার অভিযোগ, নাতনি ও নাতজামাই মিলে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি হস্তগত করেছে। কাকদ্বীপের গনেশনগর এলাকায় বৃদ্ধার জমিতে বাড়ি করেছেন তাঁরা। সেই বাড়ি তৈরীতে করেছেন বৃদ্ধার টাকায়। বৃদ্ধাকে বাড়িতে থাকতে না দিয়ে ,একটি গোয়ালঘরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধা জমি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা পোস্ট অফিসে মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পে রেখেছিলেন। সেই টাকা ভুল বুঝিয়ে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন নাত জামাই। তারপর দিনের পর দিন নিয়মিত খেতে দেওয়া হয় না। এমনকি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নাতনি ও নাতজামাই। প্রতিবাদ করলে জোটে মারধর। এখন প্রতিবেশীদের থেকে চেয়েচিন্তে চলছে তাঁর দিন। এই অবস্থায় তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন।
advertisement
৯২ বছর বসয়ী বৃদ্ধা এদিন মহকুমা শাসকের অফিস থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন,‘ আমি আর বাঁচতে চাইনা। তাই আবেদন করতে এসেছি। আমার সম্পত্তি সব হাতিয়ে নিতে চাইছে। আমাকে খেতেও দেয়না। এর থেকে মৃত্যু ভাল।’ এই ঘটনার পর বৃদ্ধার নাতজামাই বলেন,‘ দিদিমা আমাদের কাছেই থাকেন। আজ সকালেও একসঙ্গে চা খেয়েছি। পরে উনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। মানসিক ভারসম্য হারিয়েছেন। এক আত্মীয়ের প্ররোচনায় উনি এই অভিযোগ করছেন।’