অতিরিক্ত জ্বরের সঙ্গে প্রস্রাব দিয়ে রক্তক্ষরণও হতে থাকে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দিব্যরাজকে স্থানান্তরিত করে হুগলির আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গভীর রাতে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। তার রিপোর্টে ডেঙ্গু পজিটিভ এসেছিল।
আরও পড়ুন: আনিস মৃত্যুর প্রতিবাদে আমতায় রণক্ষেত্র, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ঘটনাস্থলে আনিসের বাবা!
advertisement
গত বছরের নভেম্বরে পুজো কাটতেই শুরু হয়েছিল ডেঙ্গুর দাপট। এবারও ফের শীতের আমেজ কাটতে না কাটতেই মশার দাপট বাড়ছে রাজ্যে। গত বছর বেড়েছিল ডেঙ্গু পরীক্ষার সংখ্যা। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ৮৪ হাজার জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে আক্রান্তের হার ছিল ২.৬%। ২০২১-এ এক লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়েছে। আক্রান্তের হার ১.৬%। শীতের মুখেও গত বছর কমছিল না সংক্রমণ, জেলায় জেলায় ক্রমেই বাড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমতা থানার বাইরে ধুন্ধুমার, সিবিআই তদন্তে অনড় পরিবার
এবারও শীতের আমেজ কাটতেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হল এক শিশুর। ডেঙ্গু যাতে এবার ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিতে না পারে, তার জন্য সতর্ক প্রশাসন। ডেঙ্গু সংক্রমণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এর সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর উষ্ণতা যত বাড়ছে, ক্রান্তীয় দেশগুলিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর পরিমাণ। প্রতি বছর ১০০টি দেশ মিলিয়ে প্রায় ৩৯ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। কিন্তু সমস্যার কথা এটাই যে, এই অসুখের কোনও স্পষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতি এখনও আবিষ্কার হয়নি।