বিশ্বকর্মা পুজো কাটাতে না কাটতেই শুভ সংবাদ। বুধবার হাওড়া মাছ বাজার থেকে জানতে পারলেন, রাত পোহালেই হাওড়ার মাছ বাজারে ঢুকছে পদ্মার ইলিশ। শুনেই মন প্রাণ জুড়িয়ে গিয়েছিল। আর অপেক্ষা করতে পারেননি, সকাল হতেই ইলিশের টানের রীতিমত দৌড়ে ৭৫ বছর বয়সী বিমলেন্দু কয়াল হাজির হাওড়া\’র পাইকারি মাছ বাজারে।
হাওড়া মাছ বাজারে বাংলাদেশ থেকে এসে পৌঁছল ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ। এপার বাংলার মানুষের মুখে চওড়া হাসি। মরশুমের শুরু থেকেই অপেক্ষা, কবে আসবে ইলিশ। যতই পুজো এগিয়ে আসছে ততই পদ্মার ইলিশের আশা’র আলোয় ক্ষীণ হয়ে পড়ছিল।
advertisement
পুজোর আগে সুখবর। বহু প্রতীক্ষিত পর মিলল পদ্মার ইলিশ। বুধবার বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ বৃহস্পতিবার হাওড়ার মাছ বাজারে বেচা-কেনা শুরু। ইলিশ কিনতে হিড়িক দেখা গেল ক্রেতাদের মধ্যে। তবে বিশ্বকর্মা পুজোয় ভাল চাহিদা থাকে, ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। ফলে প্রথম দিনে বাংলাদেশী ইলিশের প্রতি ক্রেতাদের যে আকর্ষণ তাকে, তুলনামূলক সেই আকর্ষণ ক্রম। যদিও একটা দিন পর আরও চাহিদা বাড়বে বলেই আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
এবার ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের মাছ এসেছে। এদিন সাইজ অনুযায়ী হোলসেল মাছ বাজারে দাম ১৫,১৬,ও ১৭০০ টাকা কেজি। খুচরো বাজারে এর দাম পড়বে কিলো প্রতি ১৬০০-২০০০ টাকা বিক্রি হতে পারে।
গুজরাতের ইলিশ প্রচুর পরিমাণে আমদানি ছিল, দামও ছিল কম। তবে একশ্রেণীর ক্রেতা পদ্মার ইলিশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। খোঁজ করছিল কবে হাওড়ার বাজারে পদ্মার ইলিশ এসে পৌঁছয়। বাজারে ইলিশ ঢুকতেই ক্রেতারা সকাল সকাল হাজির পাইকারি বাজারে। তাদের মধ্যেই একজন হলেন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা বিমলেন্দু কয়াল, ৩০০০ টাকায় ১ কেজি সাইজের দু’টি ইলিশ কিনে দারুণ খুশি।
সারা বছরে দিনকয়েকের জন্য বাংলাদেশী ইলিশ খাবার সুযোগ মেলে এপার বাংলার মানুষের কাছে। অন্যান্য ইলিশের থেকে পদ্মার ইলিশের স্বাদ অনেকটা তফাৎ যে কারণে, একটু বেশি দাম দিয়ে কিনতেও পিছুপা হচ্ছেন না একাংশের ক্রেতারা।
আরও পড়ুন- লোভে পাপ…! সামান্য ভুলে ২৭ লাখ টাকা খোয়ালেন যুবক, এমন কাণ্ড ঘটল…
ব্যবসায়ী আনোয়ার মকসুদ জানান, পদ্মার ইলিশের প্রতি মানুষের অন্য মাত্রায় আকর্ষণ। মরশুমের শুরু থেকেই পদ্মার ইলিশের চাহিদা। মানুষের সেই চাহিদা মেটাতে পেরে খুশি। আমদানির প্রথম দিকে কিছুটা ইলিশের দাম বেশি থাকে।